ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ
কিটের সমস্যার কারণে রাজ্যে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করতে পারছিল না প্রশাসন। তাই শনিবার রাতেই রাজ্যে পুল টেস্ট চালু করা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। অবশেষে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট এসে পৌঁছল এ রাজ্যেও। সেই কারণে রবিবার রাতে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ফের নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে র্যাপিড টেস্টও শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, রেড জোনগুলিতে কতটা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তা পরিমাপ করার জন্য প্রাথমিক ভাবে এই র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে। তবে অন্য জায়গাতেও যেখানে সংক্রমণের ঘটনা তেমন ভাবে হয়নি, সেখানেও পরবর্তীতে র্যাপিড টেস্ট করা হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, যে কোনও ভাইরাস শরীরে আক্রমণ করলে, মানুষের দেহে সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য মানুষের শরীরে নিজে থেকেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সাধারণ অ্যান্টিবডির বাইরে তখনই নতুন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যখন কারোর শরীরে নতুন সংক্রমণ আসে। এই টেস্টে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা হাতের আঙুল থেকে কয়েক ফোঁটা রক্ত সংগ্রহ করবেন এবং ওই কিটে প্রয়োগ করবেন। এর পর নির্দিষ্ট একটি রাসায়নিক প্রয়োগ করা হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফলাফল জেনে নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ আর বাড়ি ফিরতে হবে না করোনা চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের! জারি নির্দেশিকা
চিকিৎসকদের দাবি, যে কোনও রেড জোনের বাসিন্দার র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করলেই জানা যাবে, সেই ব্যক্তির শরীরে নতুন কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না। যদি একটিও বিশেষ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেলে ধরে নেওয়া হবে, সদ্য ওই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ হয়েছে। এবারে যাদের যাদের দেহে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টে বিশেষ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, তাদের নমুনা নিয়ে এবার পুল টেস্ট করা হবে।
কারণ সব নতুন অ্যান্টিবডির সৃষ্টি করোনা সংক্রমণের জন্য না-ও হয়ে থাকতে পারে। এবার পুল টেস্টে যে ৫ জনের করোনা পজিটিভ বেরোবে, তাদের করোনা টেস্ট করলেই উপসর্গ থাক বা না থাক, চিহ্নিত হয়ে যাবেন করোনা রোগী। তাই রাজ্যে এবার র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট এবং পুল টেস্ট দুই পদ্ধতিতেই করোনা রোগী চিহ্নিতকরণে নামবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584