নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক,একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জিডিপি পতনেরও ইঙ্গিত দিলেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। করোনা ভাইরাস অতিমারির কারণে বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে ফলে চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি ৯.৫ শতাংশ কমে যাবে, জানালেন তিনি।

মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে শুক্রবার রেপো রেট চার শতাংশই অর্থাৎ অপরিবর্তিত রাখল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, কমিটির তরফে সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে গভর্নর জানিয়েছেন,কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়তে দেশের অর্থনীতি একটি ‘সিদ্ধান্তমূলক পর্যায়ে’ প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ এলগার পরিষদ মামলায় ৮৩ বছর বয়স্ক সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করল এনআইএ
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শক্তিকান্ত দাস বলেন, করোনা ভাইরাস অতিমারির কারণে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে ফলে চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি ৯.৫ শতাংশ কমবে। তিনি বলেন, প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সংকোচন আমাদের অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। তবে জিডিপি বৃদ্ধি পেলে আবার আগের অবস্থানে ফিরবে অর্থনীতি। চলতি আর্থিক বছরে শেষ ত্রৈমাসিকে হয়তো কিছুটা ইতিবাচক অবস্থানে ফিরতে পারে দেশের অর্থনীতি।
আরও পড়ুনঃ টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগে রিপাবলিক টিভিকে নোটিস পাঠাল মুম্বাই পুলিশ
যে সুদের হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়, তাকেই বলে রেপো রেট। রেপো রেটের নিম্ন গতি ব্যাঙ্কের সুদের ওপর একটা নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করে। রেপো রেট কমে গেলে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলি কম সুদে ধার পাবে এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতিনির্ধারণ কমিটি প্রতি তিনমাস অন্তর সুদের হার নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুনঃ সদ্য উদ্বোধিত অটল টানেলে দুর্ঘটনার বাড়বাড়ন্ত প্রশাসনের মাথা ব্যাথার কারন
তিন জন নতুন সদস্য শশাঙ্ক ভিড়ে, অসীমা গোয়েল এবং জয়ন্ত আর ভার্মার অন্তর্ভুক্তির পর এই সপ্তাহে ছয় সদস্যের এই মনিটরি পলিসি কমিটির বৈঠক হয় এবং ঐ বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার।বিশেষজ্ঞরা জানান, অদূর ভবিষ্যতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ বিবেচনা করে আরবিআইয়ের এই রেট কমানোর সম্ভাবনা বেশ কম রয়েছে আগামী দিনেও।
একই সঙ্গে, চলতি আর্থিক বর্ষে ভারতের জিডিপি আরও ৯.৬ শতাংশ কমবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাঙ্কও। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে এমনটাই জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584