এমার্জেন্সির সময় ফিল্ম জগৎতের প্রতিক্রিয়া

0
160

জিৎ মিত্র

১৯৭৫ এর ২৫শে জুন অডিনেন্স দারা পাশ হয়ে আসা এমারজেন্সি দেখিয়েছিল এক প্রশ্নাতীত আধিকারিক অধ্যায়। যা করেছিল সেই সময়কার নাগরিকদের স্বাধীনতার কন্ঠ রুদ্ধ! একনায়কতন্ত্রের এক নয়া সংজ্ঞা,যেখানে নায়ক যার দারা পরিচালিত ছিল তাঁর ছিলনা কোন সাংবিধানিক পদ। হাঁ ,এখানে কথা হচ্ছে সঞ্জয় গান্ধির এবং তাঁর সাথে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ সৈনিক প্রচারক বিদ্যা চরণ সুক্লার (সেই সময়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী)।

এমারজেন্সির থেকে কেবল সাধারণ নাগরিকই নয় ,বিরক্তি ছিল হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচিতি শিল্পীদের মধ্যেও। কারণ বন্ধ্যাকরন এবং বস্তি উচ্ছেদ ছাড়াও সে এই রুপ সকল কাজকে গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রচার করাতে চেয়েছিলেন এই সকল যশস্বী শিল্পীদের দ্বারা! আর তাঁরা এই বিষয়ে সহমত না হওয়াতে ফলস্বরুপ পেয়েছেন নানান বাধা বিপত্তি। যেমন কিশোর কুমার কে ৪ঠা মে ১৯৭৫ ভি‌.সি.সুক্লার দূত যখন জানান পাটি তাঁদের মুম্বইয়ে এক সম্মেলনে টাকা দিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর এই সিদ্ধান্তের সফলতার গান গাইতে বলেছে,কিশোর কুমার সরাসরি নাকচ করেন।

আর এর ফলে তাঁর সমস্ত গান এ.আই.আর এবং দূরদ‌‌রশনে সম্প্রচার করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই এমারজেন্সির বিরুদ্ধে দেবানন্দ ‘ন্যাশানাল পার্টি ‘ গঠন করে এক স্মরনীয় বক্তব্য রাখেন মুম্বইয়ের জুহু সৈকতে,যদিও পরবর্তী সময়ে এই পারটি ভেঙে যায়। ১৯৯১তে ব্লিটস(blitz) নামক এক ম্যাগাজিনে সত্যজিৎ রায় বলেছিলেনন যে, এই এমারজেন্সির বিরুদ্ধোতার ফলে সে জহরলাল নেহেরুর উপর একটি সরকারি তথ্যচিত্রে পরিচালকের ভূমিকা নিতে নাকচ করেন। এমনকি সি.পি.আই.পার্টি সদস্য মৃনাল সেন পার্টি লাইনের বিপরীতে গিয়ে এমারজেন্সির বিরোধিতা করতে পিছুপা হননি। কংগ্রেস সমর্থক বলে পরিচিত চলচিত্র ব্যক্তিত্ব তপন সিনহা , উত্তম কুমারও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।এমারজেন্সির পর সঞ্জয় গান্ধির এবং ভি.সি.সুক্লাকে বিচারক সাহ্য়ের কমিশন ‘কিস্সা কুরসি কা’ নামক ছবির সমস্ত প্রিন্ট নষ্ট করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে যার ফলে সুক্লার ২ বৎসর এবং সঞ্জয় গান্ধির ১১ মাসের হাজত হয়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here