রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা আসনের মধ্যে দুটি ছিনিয়ে নিতে পারলেও রাজ্যের শাসক দলের ‘পাখির চোখ’ বহরমপুর লোকসভা পঞ্চম বারের জন্যেও ধরে রেখেছে কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির মূল্যায়ন সভার শেষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়টি জেলায় সাংগঠনিক রদ বদল ঘটিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ জেলা।
মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল সভাপতি সুব্রত সাহাকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের নব নির্বাচিত সাংসদ আবু তাহের খানকে।
গত কালকের এই ঘোষণার পর আজকে বেলডাঙ্গা ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।এই সংবর্ধনা সভায় আবু তাহের খান দলের স্বার্থে গোষ্ঠীর উর্ধ্বে ওঠার আহ্বান জানান।বহরমপুর লোকসভায় পরাজয়ের দুঃখ স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান যে বহরমপুর লোকসভার অন্তর্গত পরাজিত বিধানসভা গুলিকে ছয় মাসের মধ্যেই দলের পক্ষে সমর্থনে নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেন।
পূর্বতন জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের মৃত্যুর পর ফের জেলা সভাপতি হন সুব্রত সাহা।
এ জেলায় তৃণমূল হাজার একটা গোষ্ঠীতে দ্বিধা বিভক্ত।এক একটা গোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়।সেখানে নব নির্বাচিত জেলা সভাপতির এই আহ্বান সেই স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় স্বার্থে এক হওয়া কতটা সম্ভব?উঠছে সেই প্রশ্নও।
এ জেলায় সংগঠনের বেশিরভাগটাই কংগ্রেসের ঘর ভেঙে তৈরি।নব নির্বাচিত জেলা সভাপতিও সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।আর কংগ্রেস ছেড়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে নিজ নিজ গোষ্ঠী গড়ে সবাই এখানে ছড়ি ঘোরাতে চায়।যার ফলশ্রুতিতে জেলার সদর শহর বহরমপুরে এখনও তৃণমূল মানুষের অন্তরে জায়গা করতে পারেনি।
শহরের শিক্ষিত মানুষের কাছে তৃণমূলের উঠতি নেতাদের চোখ রাঙানি চমক ধমকের প্রতিক্রিয়ায় অধীর পক্ষে ইভিএম ভর্তি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ নিজের বুথেই বিজেপির কাছে ধরাশায়ী বিধায়ক
এখন দেখার গোষ্ঠী স্বার্থে ছিন্ন ভিন্ন দলীয় কাঠামো মেরামত করে মানুষের অন্তর জয়ে তাহের নেতৃত্ব কতটা জায়গা করতে পারে জেলা মানুষের কাছে।একই সাথে সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসায় পূর্বতন তৃণমূল নেতাদের কাছে তার গ্রহণ যোগ্যতা কতটা প্রমাণ করতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584