কাশীরাম দাসের জন্মভিটে সংস্কারে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

0
100

শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কবি কাশীরাম দাসের জন্মভিটে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।সংস্কারের জন্য ১১ লক্ষ টাকা চেয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জেলা শাসকের কাছে।টাকা বরাদ্দ হলেই কবির জন্মভিটে সংস্কারে পাশাপাশি একাধিক কাজ করা হবে বলে মহাকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।কাটোয়ার সিঙি গ্রামে কাশীরাম দাসের জন্মভিটে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা খুশিতে ভরপুর।এখন শুধু অপেক্ষা টাকা বরাদ্দের।জানা গিয়েছে যে দীর্ঘদিন ধরে মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কাশীরাম দাসের জন্মভিটে সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে।সারা বাড়িতে ঝোপঝাড় আর আগাছায় ভর্তি।কবির লেখা বহু প্রাচীন তালপাতার পুঁথি সংরক্ষণ অভাবে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে।তাই সংস্কারের জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে।অথচ সারা বছর ধরেই কমবেশি দেশি বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এই শিঙি গ্রামে আসেন কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ ভালো ব্যবস্থা না থাকায় বহিরাগতদের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়।নেই গেস্টহাউস নেই কোন খাবার দাবারের ব্যাবস্থা।অর্থ বরাদ্দ হলে তৈরি হবে আগামী দিন গেস্ট হাউস।২০১৭ সালের ২২ শে মার্চ কবির বাড়ির ভিতরে খননকার্য চালাতে গিয়ে মাটির নিচে একটি গোপন কুঠুরি এর সন্ধান পায় এলাকার বাসিন্দারা।শোনা যায় যে এই গোপন কুঠুরিতে কাশীরাম দাস মহাভারত এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন।

ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন যে পনেরশো পচানব্বই সাল থেকে ১৬১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৯ বছর ধরে কবি ১৮ পর্বের এক লক্ষ শ্লোক এর মূল মহাভারতের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন এই কাটোয়ার শিঙি গ্রামে।এছাড়াও ২০১৮ সালের ৫ জুন কবির লেখা বেশ কিছু প্রাচীন পুঁথি কালবৈশাখী ঝড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল সে সময় খবর পাওয়ায় কাটোয়া মহকুমা প্রশাসক সে গুলি উদ্ধার করে এবং ট্রেজারিতে এনে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এছাড়াও বহু পুতি সহ কবির ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র মিউজিয়ামে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।কাটোয়া মহকুমা শাসক সৌমেন পাল,জানিয়েছেন যে টাকা হাতে পেলেই সংস্কার ও সৌন্দর্য করা হবে কবির জন্মভিটে সেই সাথে একটি মিউজিয়াম গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মহাকুমা প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে সংস্কারের জন্য ১১ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। এই টাকা বরাদ্দ হলে কবির জন্মভিটে সংস্কার যেমন করা হবে তেমনি বসানো হবে কবির স্মারক মূর্তি একটি আলো,পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা তোরণ নির্মাণ করা হবে।এছাড়াও সিঙ্গি গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি পাঠাগার ও তৈরি করা হয়েছে।

তৈরি করা হয়েছে একটি স্মৃতি রক্ষা কমিটি। কমিটির সদস্য ক্ষুদিরাম দত্ত জানিয়েছেন যে কবির ভিটে সংস্কারের জন্য কাটোয়া ২ নম্বর ব্লক অফিসে মহাকুমা প্রশাসন সার্কিট ২ জন সদস্য নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল সেই বইটা কে এই বিবৃতি ও সংস্কারের জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্র নাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন “কাশীরাম দাসের ভিডিও সংস্কারের জন্য একটি হেরিটেজ ঘোষণার জন্য রাজ্য পর্যটন মন্ত্রী সঙ্গে আমি কথা বলেছি আশা করছি প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কবির জন্মভিটে কে পর্যটন কেন্দ্রে স্থান দেওয়ার ব্যাপারটা পাকাপোক্ত করবেন।”

আরও পড়ুনঃ কালনা মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দল

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here