শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
আর ঠিক ৪৮ ঘন্টা পরে ৩১ মে শেষ হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউন। আর তার পরের দিন অর্থাৎ ১ জুন থেকেই রাজ্যের সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গির্জা গুরুদ্বার খোলার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যের অর্থনীতির চাকা সচল করতে ৮ জুন থেকে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এদিন ঘোষণার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, সব ধর্মীয় স্থানে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ঢোকা যাবে না। কোন ধর্মীয় স্থানে কোন রকম জমায়েতও করা যাবে না। এর অন্যথা হলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রবেশ পথে ধর্মস্থানগুলির কর্তৃপক্ষকেইই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই মুহূর্তে কোনও উৎসব বা পরব পালন করা যাবে না। দীর্ঘদিন মন্দির-মসজিদ-গির্জা বন্ধ থাকার কারণে সেগুলিকে আগামী ৭২ ঘন্টায় পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুনঃ কবে থেকে শুটিং? জানাবে ৪ জুন
এছাড়াও ৮ জুন থেকে ১০০% কর্মী নিয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তবে অফিস হোক বা পরিবহণ সব ক্ষেত্রেই স্যানিটাইজেশনের কথা মনে করিয়েছেন তিনি। কাজ করার মাঝে মাঝেই স্যানিটাইজ করার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, ১ জুন থেকে পাটশিল্প ও চা শিল্পে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা করেছেন।
তবে ১০০ শতাংশ হাজিরা হতে গেলে গণ পরিবহন চালু হওয়া দরকার। কিন্তু ট্রেন বা মেট্রো চলবে কি না, তা নিয়ে এখনও কেন্দ্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এদিকে অটো চালু হলেও ভাড়া বেড়েছে, বাস মালিকরাও আকাশছোঁয়া ভাড়া বাড়ানোর আবেদন করে বসে আছেন। যদিও এখনও তাতে সম্মতি দেয়নি রাজ্য। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বাসের যতগুলি আসন ততজন যাত্রী তুলবে।
আরও পড়ুনঃ বাসের ন্যূনতম ভাড়া ১৪ টাকা, প্রতি কিমিতে ৫ টাকার প্রস্তাব
কোনও বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। আসন সংখ্যার বেশি যাত্রী তোলার জন্য কন্ডাক্টরকে জোর করতে নিষেধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু সব আসনেই যাত্রী বসবে তাই স্যানিটাইজেশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাসে কম লোক নিয়ে চালাতে হলে সরকারেরও ক্ষতি হবে, কিন্তু সেটা মানতে হবে। বাসে মুখে মাস্ক আর হাতে গ্লাভস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, হটস্পট এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবহনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অনিয়ম হচ্ছে। আর সেই সূত্র টেনেই তিনি বলেন, “ট্রেনে গাদাগাদি করে যদি এত লোক আসতে পারে, তাহলে মন্দির-মসজিদ খুলতে দোষ কোথায়? বরং এতবড় সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে মানুষ প্রার্থনা করার সুযোগ পাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584