মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
ফুলমালা শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হল ভেজাল তেল বিরোধী আন্দোলনের তিন শহীদকে। ১৯৮৮ সালের ৪ আগস্ট কোচবিহার সাগর দিঘী চত্বরে বেহালার ভেজাল তেল বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয় যুব কংগ্রেস কর্মীরা। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় সেই সময়ের যুব কংগ্রেস নেতা মিহির গোস্বামী। এই আন্দোলন চলাকালীন তৎকালীন পুলিশ সেই মিছিলের উপর নির্মমভাবে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের গুলিতে প্রান হারায় রবীন্দ্র নারায়ন চন্দ, বিমান দাস ও হায়দার আলী।
এই রবীন বিমান হায়দারকে স্মরণ করতে রবিবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাগর দীঘির সংলগ্ন কাছাড়ি মোড়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃনমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, জেলা যুব তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, যুবনেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক, রাকেশ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন শহীদ তর্পণের পাশাপাশি তারা বিজেপির বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমানি ইস্যুতে মিছিল সংগঠিত করে।
অন্যদিকে কোচবিহার শহরে বিশ্বসিংহ রোডে রবিন-বিমান-হায়দারদের শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এখানে মিহির গোস্বামী সহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন। শহীদ তর্পন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। এদিন রবীন্দ্র নারায়ন চন্দের বাড়িতে যান তিনি সেখানে তাঁর স্মৃতিচারনা করেন। তার সাথে ছিলেন তৃনমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুনঃ ‘দিদিকে বলো’ প্রচারে সভার আয়োজন জলঙ্গীতে
এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন,“রবীন ছিল আমার সহপাঠী। আমরা এক সাথে রামভোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতাম। সেই স্কুলে পড়ার দরুন আমরা একসাথে সাইকেল চেপে স্কুলে আসতাম। আমি ডাউয়াগুড়ি থেকে ও রবিন রাজেন চৌপুথী থেকে এ-দুজন বাদে অন্য বন্ধুরাও থাকত। ওর সাথে আমার নামের মিল থাকায় আমাদের বন্ধুত্বও ছিল গভীর।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584