নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন মানচিত্রে এক অন্যতম নাম হল গেঁওখালি।গেঁওখালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে সমস্ত ভ্রমণপিপাসু মানুষজনকে।তাই বহু দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন এই গেঁওখালিতে পর্যটনের জন্য।কিন্তু এই গেঁওখালি দীর্ঘ বেশ কয়েকবছর ধরে জরাজীর্ণ দশায় পড়ে থাকায় দিনের পর দিন কমে আসছিল পর্যটকদের আগমন সংখ্যা।তাই এই গেঁওখালিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যেগ নেয় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ।
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে শুরু হয় জরাজীর্ণ গেঁওখালিকে ঝাঁ-চকচকে গেঁওখালিতে রুপান্তরিত করার কাজ।যা এখন প্রায় শেষের পথে বলাই চলে।আর এই গেঁওখালির সৌন্দর্যায়নকেই রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল চলতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করে নিতে চাইছে।
স্থানীয় মহিষাদল ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি,গেঁওখালি একসময় প্রায় শ্মশানে পরিণত হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু তৃণমূল-কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এই গেঁওখালিকে নতুনভাবে সৌন্দর্যায়নে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।তাই বলা চলে লোকসভা নির্বাচনী ময়দানে রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল এই গেঁওখালির আমূল পরিবর্তনকেই প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করে নিচ্ছে।
হুগলি,রূপনারায়ণ আর হলদি নদীর সঙ্গমস্থলে গড়ে উঠেছে গেঁওখালির এই পর্যটনক্ষেত্র গেঁওখালি ত্রিবেণি সঙ্গম।একসময় এখানকার সৌন্দর্যের টানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন ভীড় জমাতেন।কিন্তু ক্রমেক্রমে জরাজীর্ণতা গ্রাস করে এই গেঁওখালির মধ্যে।বাম শাসনের আমলে বেশ কয়েকবার এই গেঁওখালিকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থমকে যায়। এরফলে ক্রমাগত কমতে থাকে এখানকার পর্যটকদের আগমন সংখ্যা।এরপর দুবছর আগে গেঁওখালিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোমার উদ্যোগ নেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পরিবহন তথা পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
চলতি লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তরফ থেকে দাঁড়িয়েছে ওই লোকসভা কেন্দ্রেরই বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।তার বিরুদ্ধে ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন সিদ্ধার্থ নষ্কর, কংগ্রেসের তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মন শেঠ এবং সিপিআইএমের তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন সেখ ইব্রাহিম আলি।২০১৬ সালে উপ-নির্বাচনে এই মহিষাদল ব্লক থেকে দিব্যেন্দুবাবু পেয়েছিলেন প্রায় ৩৬০০০ ভোট।যা এই লোকসভা নির্বাচনে আরও বাড়বে বলে আশাবাদী মহিষাদল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তিলক কুমার চক্রবর্তী।তিনি বলেন,“উপ-নির্বাচনে মহিষাদল ব্লক থেকে তৃণমূল প্রায় ৩৬০০০ ভোট পেয়েছিল।তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উন্নয়নের জোয়ারের ফলে এবার তা প্রায় ৫০০০০এ গিয়ে দাঁড়াবে।”লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু নিয়ে তিলকবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,“গেঁওখালিতে আমরা পার্ক,আলোকিতকরন সহ নানাধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।তাই এই গেঁওখালির আমূল পরিবর্তনকে আমাদের অন্যতম ইস্যু বলা যেতেই পারে।”
আরও পড়ুনঃ গ্রামস্তরে স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ পর্যবেক্ষণ
সবমিলিয়ে সমস্ত ইস্যুকে সামনে রেখে এখন জমে উঠেছে ভোট ময়দান।তবে ইস্যুর প্রভাব কি আদৌ ব্যালট বক্সে পড়বে সেদিকে নজর সকলের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584