নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়েও সুখে জীবন যাপন করছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মরাবেরিয়ার বাসিন্দা দুলাল পাত্র ও তাঁর দুই ছেলে ও স্ত্রী। গৃহকর্তা দুলাল পাত্রের বয়স বেড়ে যাওয়ায় কর্মক্ষেত্রে অনেকটাই ভাটা পড়ে যায়। এরপর থেকে পুরো সংসারের দায়-দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নেয় বড় ছেলে অসীম পাত্র।
জানা গেছে, অসীম পাত্রও কোনওক্রমে হাতের কাজ করে মা, ভাই ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে দিন কাটাতো। এরপর পেরিয়ে যায় দু’বছর। বড় ছেলে অসিত পাত্রের দেখা দেয় নানান শারীরিক সমস্যা।
এরপর কলকাতায় ডাক্তারের চিকিৎসায় ধরা পড়ে তাঁর দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। যেটুকু জমি বেঁচে ছিল তাঁদের, তাই বড় ছেলে অসীম পাত্রের চিকিৎসার জন্য বেচে দিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ আত্মঘাতী নার্সিং হোস্টেলের ছাত্রী
তবে তাতেও সমস্যা মেটেনি। ছোট ছেলে এক কারখানায় লেবারের কাজ করে সংসারের দায়িত্ব কিছুটা নিলেও পেট ভরেনি এই দরিদ্র পরিবারের। অবশেষে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন এই পরিবার।
বৃদ্ধ বাবা দুলাল পাত্রের বক্তব্য, স্থানীয় প্রশাসন যদি কিছু সুরাহা বার করে দেয় তাহলে সংসারটা বেঁচে যাবে, না হলে আগামী দিনে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অপরদিকে বড় ছেলে অসিত পাত্র জানান, অবিলম্বে কিছু না করলে বড়সড় দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ কোনও সুরাহা যদি বের করা যায়।
আরও পড়ুনঃ বিষ খাইয়ে মুরগী মারার অভিযোগে পথ অবরোধ
অন্যদিকে মাথার ছাদটুকুও খুব আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। বাড়ির চারিদিকে দেখা দিয়েছে ফাটল, গ্রামেরই এক প্রতিবেশী নিতাই পাত্র জানান, অসীমের চিকিৎসার জন্য এই পরিবারের জমি জায়গা যা ছিল সেগুলি বিক্রি করে দিয়ে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে সুস্থ করার।
কিন্তু এখন যা অবস্থা হয়েছে, তাতে হয়তো আগামী দিনে খুব সমস্যা হতে পারে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন রাখি, যাতে আগামী দিনে এই পরিবারের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584