পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গৃহবধূকে তিন তালাক দেয় তার স্বামী। এদিন সকালে সেই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
তাস খেলা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। স্ত্রী বাধা হয়ে দাঁড়ানোতে বুধবার রাতেই স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার পর পিটিয়ে,গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার গৌরি গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রামে। মৃতা গৃহবধূর নাম নূর বানু। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আজ সকালে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাসিন্দারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতা গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ইটাহার থানার ডামডোলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নূর বানুর সাথে বিয়ে হয় রায়গঞ্জের গৌরী গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সুন্দরলালের৷ স্বামী মহঃ সুন্দরলালের তাস খেলা নিয়ে স্ত্রী নূর বানুর সাথে মাঝেমধ্যেই চরম বিবাদ লেগে থাকত। স্ত্রীকে ব্যাপক মারধরও করত মহম্মদ সুন্দরলাল। দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশই বাড়ছিল। একবার মহম্মদ সুন্দরলাল তার স্ত্রী নূর বানুকে তালাকও দেয়। এনিয়ে নূর বানু তার বাবা মাকে জানায়। নূরের বাবা মা ও পরিবারের লোকজন দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রামে আসে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে কথাও বলে। গত ছদিন আগে গ্রামে তাদের এই বিবাদ নিয়ে একটি সালিশি সভাও হয়। সালিশি সভাতেই জানা যায় মহম্মদ সুন্দরলাল স্ত্রী নূর বানুকে একবার তালাক দিয়েছিল। বুধবার রাত দশটা নাগাদ স্বামী মহম্মদ সুন্দরলাল স্ত্রী নুর বানুকে তিন তালাক দেয়।এরপরই নূর বানু তার মাকে ফোন করে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেলবে। আমাকে বাঁচাও। এরপর সকাল হতেই নূর বানুর পরিবারের লোকজন ছুটে আসে দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রামে। তারা এসে দেখতে পান বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাদের মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
সূত্রের খবর বুধবার রাতেই স্বামী মহম্মদ সুন্দরলাল স্ত্রী নুর বানুকে তিন তালাক দিয়েছিল। তারপরই আজ সকালে নূর বানুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতা নূর বানুর স্বামী মহম্মদ সুন্দরলাল সহ শ্বশুর শ্বাশুড়ি সবাই পলাতক। এই ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্বামী-স্ত্রী কন্যার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে দোষীদের চরমতম শাস্তির দাবি তুলেছেন দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দারা। নুরবানুকে খুন করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584