বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন কোচবিহারে

0
29

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

কোচবিহার জেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী শুরু হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বড় রকমের ধাক্কা খাওয়ার পর ফের রাজ্যে রাজনৈতিক জমি তৈরি করতে জনসংযোগকেই হাতিয়ার করেছে তৃনমূল। এরই অঙ্গ হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। সেই কর্মসূচীকে কাজে লাগিয়ে নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ প্রচার শুরু করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তারই ফলস্বরূপ শনিবার নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার ৮টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করেন।

এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ওই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে কর্মী সমর্থকদের স্বাগত জানান মন্ত্রী। ওই যোগদান কর্মসূচিতে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পঙ্কজ ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।

returning to TMC from BJP
দলীয় পতাকা তুলে দিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

এদিকে দলবদল প্রসঙ্গে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি হল সাম্প্রদায়িক দল। জেলাজুড়ে বিজেপি যেভাবে অশান্তি সৃষ্টি করছে তা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছে না। তারা বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়েই তারা ফের তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসছেন।” শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে কোচবিহার জেলায়। ফলে এখন কি করবে তারা ভেবে উঠতে পারছেন না। তাই তারা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে।

কোচবিহার জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান এমন কোন ঘটনা আমাদের জানা নেই। কারন মন্ত্রী বাবু তার নিজের এলাকায় ব্যাক ফুটে চলে যাওয়া। তার ফলে তিনি তৃণমূলের লোকজনকে আবার তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে প্রচারে আসার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভের পর জেলা জুড়ে বিজেপি-তৃণমূল একটা সন্ত্রাসের বার্তাবরন তৈরি হয়। এমনকি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে শুরু করে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্যারা। এমত অবস্থায় ক্ষীণ দুর্বল হয়ে পরে তৃণমূল। তারপর রাজনৈতিক গুরু পিকের পরামর্শে কোচবিহার জেলার রাজনৈতিক পরিবেশ পাল্টাতে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে সভাপতি করা হয়। তারপর একের পর এক জায়গায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেন। তারপর মানুষের সাথে জনসংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালানো হয় সাধারণ মানুষের সাথে। জেলার বিভিন্ন বিধানসভা গুলিতে শুরু হয় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। আর এতেই কিছুটা গুড ফিল অবস্থা হয়ে যায় তৃণমূলের। তারপর ধিরে ধিরে ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরতে শুরু করে। দীর্ঘ চার মাসে যত দলছুটরা রয়েছে তার প্রায় বেশিরভাগ কর্মী সমর্থক আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, তবে কি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গড় কোচবিহারকে নিজের দখলে রাখতে পারবে ? নাকি বিজেপি কোন পরিকল্পনা করে ফের পুসব্যাক করাচ্ছে তৃণমূলে। তার উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here