ওয়েব ডেস্ক, জয়পুরঃ
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী সভায় ‘উস্কানি মূলক’ বক্তব্যের জন্য ডাঃ কাফিল খানকে জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মথুরা জেলে দীর্ঘদিন আটক থাকার পর এলাহাবাদ হাইকোর্ট সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এই রায় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় ডাঃ কাফিল খানকে। সরকারের নগ্ন রূপ প্রকাশ্যে আনাই আমার অপরাধ ছিল, মথুরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বললেন কাফিল।
গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে মারা যায় প্রায় ৭০ জন শিশু কারণ বিল না মেটানোর জন্য হাসপাতালে অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দেয় অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা, সরকারের তরফে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি সবকিছু জানার পরেও।
ডাঃ কাফিল খান ব্যক্তিগত চেষ্টায় কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছিলেন কিছু শিশুর নাহলে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তো। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে উত্তরপ্রদেশ সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন অমানবিক রূপ। যোগী সরকারের রোষ গিয়ে পড়ে ডাক্তার খানের ওপর।
আরও পড়ুনঃ ডাঃ কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের
এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে যোগী সরকার, জাতীয় সুরক্ষা আইনে কারণ হিসেবে দেখানো হয় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সিএএ বিরোধী সভায় তিনি যা বক্তব্য রেখেছেন তা দেশের সুরক্ষার পক্ষে ক্ষতিকারক। বিনা বিচারে আটক রাখা হয় মথুরা জেলে। অবশেষে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যাবতীয় অভিযোগ থেকে ডাঃ খানকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি দাঙ্গা: দেবাঙ্গনা কলিতার জামিন মঞ্জুর
সিএএ বিরোধী বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে এদিন বলেন, ” আমার সিএএ নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে কোনো সমস্যা ছিল না কারণ তখন অব্দি আমি বুঝেছিলাম এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, পরবর্তীকালে এনপিআর প্রসঙ্গে আপত্তি ছিল, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব এই বিষয়ে। ”
তারপর তিনি আরও জানান, জেলে তার ওপর কি পরিমাণ অত্যাচার করা হয়েছে, টানা ৭২ ঘন্টা তাঁকে জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এনকাউন্টারে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারতো। আর পারিবারিক ক্ষতির পরিমাণ অপূরণীয়। তিনি রাজস্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এখন কারণ উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁকে আরও সমস্যায় ফেলতে পারে এই ভয়ে।
তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতিদের, শ্রীমতী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে, অখিলেশ যাদবকেও পাশে থাকা অগণিত মানুষকে।
তিনি আরও জানান, উত্তরপ্রদেশ সরকার যদি তাঁকে পুনর্বহাল করেন তবে তিনি নিশ্চয় এই প্যান্ডেমিকের সময় একজন ডাক্তার হিসেবে তাঁর যাবতীয় কর্তব্য পালন করবেন। আর যদি সরকার তা না চায় তাহলে তিনি আসামে যাবেন, বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে থাকবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584