নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
মঙ্গলবার সকাল আটটা পনের মিনিট নাগাদ মেদিনীপুর শহরের নয় নম্বর ওয়ার্ডের কর্ণেলগোলায় গোলকুঁয়ার চক থেকে ধর্মা যাওয়ার রাস্তায় একটি বিপজ্জনক বাড়ী হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে।তবে বাড়ির মধ্যে কেউ বসবাস না করায় এবং ওই সময় রাস্তায় কেউ না থাকায় কেউ হতাহত হননি। বাড়িটির বয়স প্রায় দেড় শতাধিক বছর হবে। বাড়ির বর্তমান মালিক স্বপন পিড়ি ও তপন পিড়ি।বয়স ষাটের স্বপনবাবু জানান বাড়িটি তাঁদের ঠাকুরদা প্রয়াত হরিপদ পিড়ির আমলের।
পাশের বাড়ির বাসিন্দা ঘটনার অন্যতম প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষক মিলন আঢ্য জানান, তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে থাকার সময় আজ সকালে ভয়ঙ্কর শব্দ পান, এবং দেখেন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো তাঁর বাড়ির ঠিক পাশের বাড়ি।মিলনবাবুর মোটরসাইকেল ভেঙে পড়ার বাড়িটির সামনেই রাখা ছিল, গাড়িটি উল্টে যায় এবং গাড়ির ব্যাক লাইট ভেঙে যায়। বিপজ্জনক ও ড্যাম হওয়ার এই বাড়িতে কেউ বসবাস করতেন না। কিন্তু বাড়ির একটা অংশ সাইকেল মোটরসাইকেল রাখার গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বাড়িটি যখন ভাঙ্গছে ঠিক সেই সময়ই পিড়ি দের বাড়িতে অন্য অংশে ভাড়ায় বসবাসকারী রেণুকা স্ক্রিন প্রিন্টিং প্রেসের মালিক সঞ্জয় মজুমদার, তখন নিজের মোটরসাইকেল বের করার জন্য বাড়ির মধ্যে ছিলেন। বাড়ি ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে বাইরে বেরোতে গিয়ে দেখেন তাঁর চোখের সামনে বাড়ির সামনের দিকটা ভাঙছে। তিনি সামনের দিকে বেরোতে না পেরে বাড়িতে অন্যদিকের কিছুটা মজবুত অংশের দিকে সরে পড়েন। সঞ্জয়বাবুর কথায়,”বরাত জোরে বেঁচে গেছি”। বাড়িটি দক্ষিণ দিকের মেন রাস্তায় উপর পড়ায় ঘন্টা বিকেল পর্যন্ত জন্য ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল সাড়ে নটার দিকে পুরসভার উদ্যোগে জেসিপি এনে রাস্তা পরিষ্কার করার পাশাপাশি বিপজ্জনক বাড়ি টির বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হয়।সাবধানে এ কাজ করতে দুপুর গড়িয়ে যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584