নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
মালদহে ভাঙন শুরু হয়েছে গঙ্গা ও ফুলাহার নদীর৷ করোনা আবহে নতুন সংকটে পড়েছেন কালিয়াচক ৩ ও রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মানুষ৷ নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে একরের পর একর আমবাগান, কৃষিজমি৷ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জেলা প্রশাসন ৷
তবে এই পরিস্থিতিতে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ওই দুই এলাকায়। ফি বছরের মতো এবারও কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের শোভাপুর-পারদেওনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে গঙ্গার ভাঙন৷ বৈষ্ণবনগরের চরচক বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে পাড় পরাণপুর পর্যন্ত প্রায় 8 কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে পাড় অনুপনগর, পাড় অনন্তপুর, গোলাপ মণ্ডলপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম৷
আরও পড়ুনঃ রেলযাত্রীরা যাতে মাস্ক – স্যানিটাইজার ব্যবহার করে, জওয়ানদের পরামর্শ আরপিএফের আইজির
গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু কৃষিজমি ও। এই বিষয়ে বিডিও গৌতম দত্ত বলেন, “গতকাল থেকেই গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ বেশ কিছু জমি ইতিমধ্যে নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। সেচ দপ্তরকে আমরা রিপোর্ট করেছি৷ তবে এই এলাকায় ভাঙন রোধের দায়িত্ব ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের”।
গঙ্গার সঙ্গে ফুলাহারের ভাঙনও শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে রতুয়া ১নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দুই নদী দিয়ে ঘেরা৷ শুক্রবার থেকে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রামায়ণপুর, দ্বারিকাটোলা, গঙ্গারামটোলা গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে ফুলাহারের ভাঙন ৷
আরও পড়ুনঃ বেহাল অবস্থায় আখেরীগঞ্জ যাওয়ার রাস্তা
একই সঙ্গে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে নয়া বিলাইমারি, হাজি জাফরটোলা, জঞ্জালিটোলা, শ্রীকান্তটোলা, পটলডাঙা প্রভৃতি গ্রামে ৷ এইসব গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা জমি ও আমবাগান ইতিমধ্যে দুই নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে৷ তবে ভাঙনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গঙ্গারামটোলা গ্রাম।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584