পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
দুর্ঘটনা, অবরোধের সামিল স্থানীয় মানুষজন, মানুষের বিক্ষোভ সামাল দিতে অতপরঃ বাধ্য হয়ে পুলিশ দুর্ঘটনার রুখতে অস্থায়ী বাম্পার তৈরি করে দিল। কিন্তু তড়িঘড়ি বাম্পার তৈরি করতে গেলে যা যা উপকরণ দরকার হয় তা কিন্তু হাতের কাছে থাকে না পুলিশের। তাই হাতে গরম রাস্তার পাশে পড়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহৃত হয় বাম্পার হিসেবে। সাময়িক গোঁজামিল দিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত ব্যাক্তির মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভরত এলাকাবাসীকে শান্ত করা গেলেও আখেরে কিন্তু প্রাণহানির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে তৈরি বাম্পার এর সংখ্যা বীরভূম জুড়ে নেহাতই কম নয়। প্রত্যন্ত গ্রামগুলো থেকে শুরু করে রাজ্য সড়কের উপরে ও একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে তৈরি করা বাম্পার নজরে এসেছে। সিউড়ি থেকে বোলপুর যাবার রাস্তায় পুরন্দরপুরের কাছে তিনটি বাম্পারে ব্যবহার করা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, সাঁইথিয়া থেকে পুরন্দরপুর আসার রাস্তায় প্রায় দশটি বাম্পারে ব্যবহার করা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, সিউড়ি থেকে পাথরচাপরি যাবার পথে কড়িধ্যার কাছে তিনটি বাম্পার, সিউড়ি থেকে সাঁইথিয়া যাবার রাস্তায় মাঠপলশার কাছে তিনটি বাম্পারে ব্যবহার করা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি শুনে হতভম্ব হয়ে যান, তিনি বলেন মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে রাজ্য প্রায় চষে ফেলেছেন অথচ বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে তৈরি হয়েছে বাম্পার সেটা তো আর কখনোই নজরে আসেনি।
যদি বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে রাজ্য সড়কের উপরে বাম্পার তৈরি করা হয় তাহলে সেটা সর্বৈব আইনত অপরাধ বিদ্যুতের খুঁটি চুরি করে এইভাবে বাম্পার তৈরি করা যায় না বিষয়টি নিয়ে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে।
বোলপুর থেকে বাইকে করে সিউড়ি ফিরছিলেন বিমল মন্ডল। তিনি বলেন ব্যবসা সূত্রে হামেশাই আমাকে বোলপুর যেতে হয় ফিরতে রাত হয়, পুরন্দরপুর আসার আগেই আশঙ্কায় থাকি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে বেরিয়ে আসা তার গুলো যদি কোনভাবে বাইকের সঙ্গে জুড়ে যায় তাহলে মৃত্যু নিশ্চিত।
তাই বাম্পার এলেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই পার হই প্রাণ বাঁচাতে। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী বিদ্যুতের খুঁটি এই চুরি করে রাজ্য সড়ক দপ্তর কোন ভাবেই বাম্পারে কাজে ব্যবহার করতে পারে না, তাহলে প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারের এক দপ্তর আরেক দপ্তরের সরকারি সম্পত্তি কিভাবে চুরি করছে? মন্ত্রী মশাই এর কথা অনুযায়ী এত ভাবের ঘরে চুরি।
আরও পড়ুনঃ উজ্জ্বলা প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগে সরব তৃণমূল
যদিও বীরভূম জেলার সড়ক দপ্তরের ফোন করে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়ার কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি। কারন সড়ক দফতরের ( ০৩৪৬২ – ২৫৫ ২৬১) ফোন নং টি বারবার বেজে গেলেও কোন আধিকারিক ফোন ধরেননি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584