নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
এবারের জন্মদিনটা একটু অন্যভাবে সেলিব্রেট করলেন অভিনেতা৷ গল্ফগ্রিনের রং কল বস্তি ও তার আশেপাশের ২২০ জন শিশুর হাতে তিনি তুলে দিলেন শীতের পোশাক এবং খাবারের প্যাকেট। ওদের নিয়েই কাটলেন কেক। সব মিলিয়ে গ্র্যান্ড বার্থ ডে সেলিব্রেশন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, তাঁর এই জন্মদিনের শুভলগ্নেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন কি ছাড়ছেন না, ছাড়লেও কোন রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে চলেছেন তিনি তা নিয়েও শুরু হয়েছে অনুমানভিত্তিক চর্চা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতেই সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন তিনি৷
কিন্তু কোন দলের হয়ে? মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিনেতা। বেশ কয়েকবার নানা কারণে শাসকদলের বিপরীত সুরে গান গেয়েছেন তিনি। বলা বাহুল্য, রুদ্রনীল অনেকদিন আগে থেকেই রাজনীতি সচেতন মানুষ। ছাত্রজীবনেও যুক্ত ছিলেন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ হিন্দি ওয়েব সিরিজ নিয়ে হাজির ‘স্টুডিও ব্ল্যাক বক্স’
তবে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত রুদ্রনীল যোগ দেন তৃণমূলে৷ রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি হন৷ হাওড়ার একটি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদেও বহাল হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মাই সিনেমা হলে আসছে দীপ ঘোষের ‘অ্যাকুয়ারিয়াম’
২০১৪ ও ২০১৬’র নির্বাচনে রুদ্র ছিলেন শাসকদলের স্টার ক্যাম্পেনার৷ কিন্তু ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকেই ছন্দপতন। দূরত্ব তৈরি হয় শাসক দলের সঙ্গে। রাজ্যে কাটমানির চল থেকে শুরু করে সিন্ডিকেট রাজ- একাধিক ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার তোলেন টলিউডের চ্যাপলিন রুদ্রনীল ঘোষ৷ সরতে হয় সরকারি পদগুলি থেকেও।
তারপর প্রায় বছর দেড়েক সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি রুদ্রনীলকে। তবে এবার আরও একবার রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে উদ্যোগী তিনি। বাকিটা সময় বলবে। অভিনেতার জন্য রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584