সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
‘মা মাগো মা আমি এলাম তোমার কোলে, তোমার মায়ায় তোমায় ছায়ায় মানুষ হবো বলে।’ কিন্তু তা হল না।ছোট্ট রূপসার।কারন সে যে কন্যা।এটাই তার অপরাধ।
প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে গত সাত মাস আগে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন হাওড়ার শ্যামপুরের এক মহিলা।পরে হাসপাতালে এক ফুট ফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।তবে কন্যা সন্তান হওয়ায় সদ্যোজাত ওই শিশুকে হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায় পরিবারের লোকজন।
পরে অবশ্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের পক্ষ থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে।তাঁরা ওই কন্যা সন্তানকে নিতে অস্বীকার করে।তারপর থেকে হাসপাতালের এস এন সি ইউ বিভাগে বড় হতে থাকে ওই সদ্যোজাত শিশু কন্যা।
আর এভাবেই কেটে যায় ৭ টি মাস।এখন সে সকলের ভীষণ আদরের।এক মুহুর্ত তাকে কেউ কোল ছাড়া করেনা।এস এন সি ইউ বিভাগের ডাক্তার থেকে নার্স সকলের কোলে তার সারাটা দিন কাটে।তার নামও রেখেছে সকলে মিলে রুপসা।
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে রক্তদান শিবির
আর ছোট্ট রূপসার বয়স এখন সাত মাস।তাই ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের উদ্যোগে তার মুখে ভাতের ব্যবস্থা করা হয় এদিন।
আর ছোট্ট রূপসার মুখে ভাত উপলক্ষে আনন্দের বাঁধ ভাঙে এস এন সি ইউ বিভাগের ডাক্তার,নার্স থেকে সকল কর্মীদের মধ্যে।
এদিন ছোট্ট রুপসাকে কেউ দিয়েছে নতুন পোশাক আবার কেউ দিয়েছে খেলনা উপহার।তবে এসব কিছুর মাঝে সকলের স্নেহে বেড়ে ওঠা রূপসার নিজের পরিবার না থাকলেও হাসপাতালের এস এন সি ইউ বিভাগ এখন তার পরিবার।
তবে শুধুমাত্র কন্যা সন্তান হওয়ার অপরাধে ছোট্ট রুপসাকে নিতে অস্বীকার করে তাঁর পরিবার। যেখানে আজ কন্যাশ্রীতে রাজ্য আজ বিশ্বজয় করেছে।শুধু তাই নয় কন্যা সন্তান আজ পাড়ি দিচ্ছে চাঁদে।
আর ছোট্ট রূপসারা পড়ে থাকে হাসপাতালে।তবে ছোট্ট রূপসার ঠিকানা কোথায় হবে ?কী হবে তাঁর ভবিষ্যৎ?সবকিছু যেন আইনি জটিলতার মাঝে আটকে।
আজও কী কন্যা সন্তানরা শুধু অবহেলিত থাকবে। নাকি কখনও ভাবনার বদল হবে?প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584