নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলা মূলত কৃষি নির্ভরশীল। এখানে সাধারণত মানুষ ধান গম পাট ও সব্জির উপর বেশি নির্ভরশীল। তাই ধান কেটে আবার সেই জমিতে গম চাষের জন্য জোর কদমে চলছে ধান ঝাড়ার কাজ। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ধানের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে বলে জানান চাষিরা।

তাই ধান যত তাড়াতাড়ি ঘরে তুলতে পারবেন সেই চেষ্টাই চলছে বিভিন্ন মাঠে। বিঘা প্রতি প্রায় দু’শো মন করে ধান উৎপাদন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

যদিও কিছু ধান চাষী জানান ধানের আবাদ করতে গেলে অনেক খরচ হয় সেই তুলনায় ধানের ফলন অতটা ভালো নয় বলেও তিনি জানান। যদি সরকারের তরফ থেকে কোনো ভর্তুকি পাওয়া যায় তাহলে অনেকটাই সহজ হয় ধান চাষের ক্ষেত্রে।

প্রথমে ধানের চারা রোপন করা তারপরে জমি পচানো, তারপরে জমিতে সার ধার দেওয়ার পরে ধান পোতা হয় এবং তারপরে কন্টিনু ধানের জমিতে জল রাখতে হয় এখানে জল খরচ এবং সার খরচটা অনেক পড়ে যায়। সেই কারণেই লাভের অংশটা খুবই কম। যদিও ধান চাষ না কল করলে খাবারের অনেক কষ্ট কারণ চাষিরা চাল কিনে খাওয়ার মতন অভ্যাস তাদের নেই । বাড়ি ঘর লোড করে ধান রাখার অভ্যাস।
আরও পড়ুনঃপ্রযুক্তির যুগে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল
যদি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার চাষীদের জন্য কিছু ভাবেন যেমন সারে ভর্তুকি ও বিদ্যুৎ বিলে ভর্তুকি দেন তাহলে হয়তো চাষিরা আবার ভালোভাবে চাষ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584