নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকদের মাস পয়লায় বেতনের ঘোষণা করেন। ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা ছাড়া এতদিন তা কার্যকরও হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার কিছু সরকারি আধিকারিকদের গাফিলতিতে এ মাসে এখনও পর্যন্ত বেতন পাননি প্রায় ২০হাজারের বেশি শিক্ষক। ৭ এপ্রিলের আগে তা পাওয়ার সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের ফলে নতুন অ্যাকাউন্টের তথ্য না থাকায় ট্রেজারি থেকে যায়নি বেতন। শিক্ষকদের দাবি, একটু আগে থেকে বিষয়টি সম্পর্কে সজাগ হওয়া উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। তাহলেই দুর্বিপাকে পড়তে হত না শিক্ষকদের।মোদী সরকার বেশকিছু ব্যাঙ্ক-কে বড় ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করেছে। এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির আইএফএসসি এবং এমআইসিআর কোড পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের হয়ে বাংলায় প্রচারে এলেন ‘বাংলার মেয়ে’ জয়া বচ্চন
যথাসময়ে আপডেট হওয়া আইএফএসসি এবং এমআইসিআর কোড আইওএসএমএস পোর্টালে তোলা হয়নি। সেই কারণেই মাস-পয়লা বেতন পেলেন না শিক্ষকরা।উল্লেখ্য, শিক্ষক সংগঠন এসটিইএ-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক অনিমেষ হালদার কয়েক মাস আগেই এই আশঙ্কা করেছিলেন।
তিনি সেই সময় স্কুলশিক্ষা কমিশনার এবং ডিআই অফিসে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন যে, ক্যাম্প করে শিক্ষকদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হোক। না হলে মার্চের বেতন পেতে সমস্যা হবে শিক্ষকদের। কারণ, মার্চেই সংযুক্তি শেষ করছে ব্যাঙ্কগুলি। যদিও তাঁকে তখন বলা হয়, স্কুল শিক্ষা ডিরেক্টরেট থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশ না এলে ডিআইরা একতরফা এই পদক্ষেপ করতে পারেন না। আর তাতেই এই সমস্যা।বেতন না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে শিক্ষক মহলে।
আরও পড়ুনঃ তৃতীয় দফায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ৬১৮ কোম্পানি বাহিনী থাকছে রাজ্যে
তারপরেই নড়েচড়ে বসেছেন বিকাশভবনের কর্তারা। অন্যতম এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, শিক্ষকদের কোথাও যেতে হবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে সমস্ত তথ্য ব্যাঙ্কগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে বেতন পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। মাঝে গুডফ্রাইডে এবং রবিবার ব্যাঙ্ক ছুটি, শনিবার রাজ্য সরকারের ছুটির ফলে বেশ কিছুটা বেশি সময় লেগে গেল বলে জানিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের ওই আধিকারিক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584