শ্যামল রায়,পূর্বস্থলীঃ
উচ্চমাধ্যমিকে ৪৪০ নম্বর পেয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে পারুলিয়া কে কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শান্তনু দেওয়ান।মা গৌরী দেওয়ান একজন দিনমজুর।একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সংসার চালান।বাবা কানু লাল দেওয়ান অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছে।
দিনমজুরের ছেলে অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করায় এলাকার বাসিন্দারা যেমন খুশি তেমন মা গৌরী দেওয়ানও গর্বিত।মা গৌরী দেবী জানান,’আমার অভাব অনটন থাকলেও সকলের সহযোগিতা নিয়ে ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।ছেলে পড়াশোনা শিখে ভালো কাজ পেলে আমার একটু মুখে হাসি ফুটবে এটাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছি সর্বদা।’
পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পারুলিয়া স্কুল পাড়ার বাসিন্দা শান্তনু দেওয়ান জানিয়েছে যে সে একজন শিক্ষক হতে চায়।তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৮৮,এডুকেশনে ৮৪, ইতিহাসে ৮৮,পলিটিক্যাল সায়েন্স ৯০ নম্বর।এ প্লাস পেয়েছে শান্তনু।বিভিন্ন শিক্ষক তাকে পড়াশোনায় সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন মা গৌরী দেবী।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চকন্যার স্বপ্ন শিক্ষিকা হওয়া
সারাদিন মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে সাহায্য করে ছেলেকে মানুষের মত মানুষ গড়তে চেয়ে মায়ের যে উদ্যোগ এলাকার বাসিন্দারাও তার প্রশংসা করেছেন।এক কথায় দিনমজুর মায়ের ছেলে সান্তনু অর্থনৈতিক দিক থেকে সচ্ছল হলে শান্তনু যে আরো ভালো রেজাল্ট করতে পারত অকপটে স্বীকার করেছে শান্তনু।স্থানীয় বিধায়ক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সাহা তার পড়াশোনার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584