সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ
প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।বাঙালির কাছে ‘বিদ্যা’ নামক শব্দটির প্রতীক হয়ে উঠেছে সরস্বতী।কয়েকদিন পর বাগ দেবীর আরাধনায় মেতে উঠবেন রাজ্যবাসী।বাগ দেবীর রুপ দিতে ব্যাস্ত সরস্বতীরাই। সরস্বতীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরী হচ্ছে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর মূর্তি।
কয়েকদিনের জন্য লেখাপড়া বন্ধ করে। কেউ আবার সংসারের কাজ ছেড়ে সরস্বতী প্রতিমা তৈরীতে ব্যাস্ত। ডায়মন্ড হারবার দুনম্বর ব্লকে সরিষার কলাগাছিয়া গ্রামে চিত্রকর পরিবার।
আরও পড়ুনঃ বাঘ আর পাকিস্থান অন্তর্ভুক্তি থেকে রক্ষা পেতেই ঘোষবাড়ির মাতৃ আরাধনার সূচনা
এখন একটাই ব্যস্ততা সরস্বতীর মূর্তি তৈরী নিয়ে। পলিথিন ঘেরা ঘরের মধ্যে অতি কষ্টে বাস চিত্রকর পরিবারের। চিত্রকর পরিবারে মহিলারা তৈরী করেন বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে। মা,মেয়ে ও বৌমা মিলে সরস্বতী প্রতিমা গড়েন প্রতিবছর। ২০ বছর ধরে চিত্রকর পরিবারের মহিলারা মিলে সরস্বতী প্রতিমা গড়ছেন।
গৃহকর্তী হেনা চিত্রকর বলেন সব ধরনের প্রতিমা তৈরী করে ঠিকই। কিন্তু আলাদা মর্জাদা দেন সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে । ঠাকুরের কাঠামো বাঁধা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ তৈরী করা পর্যন্ত হাত লাগান মা, মেয়ে আর বৌমা ।পরিবারের পুরুষরা অন্য কাজ করেন। তবে অবসর সময়ে কিছু সাহায্য করেন। এবছর বড় ছোট মিলিয়ে ১০০ টি প্রতিমা তৈরীর করা হচ্ছে চিত্রকর পরিবারে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি। তবে কাঁচামালের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেজন্য খরচও বেড়েছে তাদের।
তবে খরচ যেমন বেড়েছে তেমনি প্রতিমার দাম ও বাড়াবেন তাঁরা। তাঁদের তৈরী প্রতিমা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যায়। তবে বেশি বিক্রি হয় স্থানিয় বাজারে । বিশেষ করে সরিষা ,কলাগাছিয়া,ডায়মন্ড হারবার ,আমতলা,বারুইপুরে । এছাড়া কলকাতাতেও যাবে তাদের তৈরী মূর্তি। এই পরিবারের পিয়ালি চিত্রধর বাড়ির বৌমা। ল্য নিয়ে পড়াশোনা করছেন। হাজার ব্যাস্ততার মধ্যে দিয়েও একটু সময় বের করে সরস্বতী প্রতিমা তৈরী করতে ব্যাস্ত থাকেন তিনি। স্বামী দিন মজুর । তাই সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে নাওয়া খাওয়া ভুলে নেমে পড়েছেন তিনি। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। চিত্রকর পরিবার হাতের তৈরী বাগদেবীর মূর্তি বিক্রির অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584