পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের হাটজন বাজার কলোনিতে প্রচার করতে গিয়েছিলেন শতাব্দী।রাস্তায় তাকে অভিযোগ জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন হাটবাজারের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা। তাদের অভিযোগ জল নেই, সারা বছর জল কষ্টে ভুগতে হয় তাদের, স্নান করতে হয় পুকুরের নোংরা জলে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করতে হলে কাউন্সিলরকে দিতে হয় টাকা, যোগ্য লোক পায় না কোন সুবিধা।
কিন্তু সাংসদ বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারে এই অনুমান করেই শতাব্দীর গাড়ি ঘুরিয়ে নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যপথ ধরে দু নম্বর ব্লকের ওই গ্রামে পৌঁছায় সংসদ। কিন্তু সেখানেও পিছু ছাড়লো না বিক্ষোভকারীরা।পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছালেন তারা এবং সাংসদকে জানালেন নানান অসুবিধার কথা।প্রচারে এসে এই ধরনের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছুটা হলেও হতচকিত হয়ে গেলেন সাংসদ।এরপর আস্তে আস্তে শুনলেন অভাব অভিযোগের কথা।যদিও অভিযোগের কথা সোনার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সেখান থেকে রওনা দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মনোনয়ন জমা দিয়ে নিজেকে একশো দিয়ে বিরোধীদের দশ দিলেন শতাব্দী
মহিলাদের আরও অভিযোগ সাংসদ তাদের সাথে ভালোভাবে কথা বলে নি, তাদের দেহরক্ষীরা সাংসদের কাছেই যেতে দেয়নি তাদের। এটাই প্রথম নয় এর আগেও মোহাম্মদ বাজারের প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সাংসদ।এরপর এখানে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেজায় ক্ষুব্ধ সাংসদ শতাব্দী।তিনি অবশ্য ক্যামেরার সামনে জানান সমস্ত ব্যাপারটা আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়,অভিযোগ খতিয়ে দেখব।
প্রসঙ্গত জলের সমস্যা সিউড়ি শহরের দীর্ঘদিনের,বারবার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরও আজও মেটেনি সেই সমস্যা। গত লোকসভা ভোটের আগে সিউড়ি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট প্রচারে গিয়ে শতাব্দী বলেছিলেন ভোটে জেতার পর জলের সমস্যা দূর করব।পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও আজও দূর হয়নি জলের সমস্যা। কখনো দেড় কিলোমিটার দূরে রেলস্টেশন থেকে তো কখনো বা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কলসি ভরে আনতে হয় জল। তারই ফলস্বরূপ বিক্ষোভের মুখে সাংসদ শতাব্দী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584