পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
কাজ করেও ভোট নেই,ক্ষোভ উগরে দিলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়।ভোটের পর এই প্রথম এলেন তিনি সাঁইথিয়াতে।বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে মাত্র তিনটি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে, বাকি চারটি বিধানসভা এলাকায় বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে রীতিমতো পর্যুদস্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।তাই এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সংবর্ধনা সভায় এসে এই চার বিধানসভা এলাকায় কাজ করেও কেন তৃণমূল কংগ্রেস ভোট পেলনা তা নিয়ে যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেন শতাব্দী রায়।
সাংসদ হিসেবে হ্যাটট্রিক করেও সেই উচ্ছ্বাস শতাব্দী রায়ের মধ্যে লক্ষ্য করা গেল না, বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এই চার বিধানসভা এলাকার মানুষের জন্য তো কিছু কোন কাজ করা হয়নি, মুখ্যমন্ত্রী এই চারটি বিধানসভা এলাকার পৌরসভাগুলোর জন্য কিছুই করেননি মনে হয়,যদি করতেন তাহলে নিশ্চয়ই মানুষ ভোট দিতেন।
আরও পড়ুনঃ মার্জিন বাড়লেও জেতার পর স্বস্তিতে নেই শতাব্দী
তিনি আরো বলেন ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল করার প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে,এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, কিন্তু যারা দলে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি করছেন তাদেরকে অনুরোধ করে বলবো এই কাজ থেকে তারা যেন বিরত থাকেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মিছিলে যাচ্ছে,সব রকম সুবিধা ভোগ করছে, মিটিংয়ে যাচ্ছে,অথচ ভোট দেবার সময় বিরোধী দলকে ভোট দিচ্ছে,দয়া করে দলের সাথে এই ধরনের বেইমানি করবেন না।
তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, যারা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কথা দিয়েছিল, ভোটের বাক্সে তাদের প্রভাব কোথায় পড়ল, গত ১০ বছর ধরে সাংসদ হিসাবে কি কাজ করেছি তার হিসেব দিয়েছি, কিন্তু আমার হিসেব চাই আপনারা কাজ নিয়েও কেন ভোট বাক্স ভরতে পারলেন না।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনেক উন্নয়নের কাজ করেছেন।তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা আগে কখনও কোন সরকার করেনি। এরপর যদি আপনারা বলেন যে ধর্ম দেখে ভোট দিয়েছে তাহলে আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন ধর্ম দেখে ভোট দিয়ে কি হবে।ধর্ম দিয়ে কি উন্নয়ন হয়।আমি আপনাদের পাশে থেকে এত কাজ করেছি কিন্তু এর পরিবর্তে আপনারা যদি কিছু না দেন তাহলে কি আর ভবিষ্যতে ভালো লাগবে কাজ করতে।
সবশেষে তিনি মঞ্চ থেকে তৃণমূল কর্মীদের কে সতর্ক করে দেন, দয়া করে দলে থেকে দলের সঙ্গে বেইমানি করবেন না,যদি ভালো না লাগে দল ত্যাগ করে যে কোন দলে যেতে পারেন, আপনি কোন দল করবেন সেটা আপনার স্বাধীনতা,কিন্তু দলের সঙ্গে বেইমানি আমরা কখনো মানিনি,মেনে নেবো না কখনই। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন যারা তারা অনেক কিছু বড় পাওয়ার আশা নিয়ে যাচ্ছেন,কিন্তু পাওয়া যে অত সহজ নয় অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।এদিনের মঞ্চ থেকে এমনটাই জানান সাংসদ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584