নিজস্ব সংবাদদাতা পূর্ব মেদিনীপুরঃ

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি গেস্ট হাউসে হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুর জেলার যুব মোর্চার জোনাল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শনিবার। ওই বৈঠকে যাবার আগে কোলাঘাট থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত বাইক র্যালি করেন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, যুব মোর্চার কাঁথি অবজারভার শঙ্কুদেব পণ্ডা সহ তিন জেলার যুব মোর্চার নেতৃত্বরা।

আগামী বিধানসভা ভোট কে মাথায় রেখে যুব মোর্চা ও বিজেপির বিভিন্ন রণকৌশল এই বৈঠক থেকে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র মারফত খবর। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে পিসি আর ভাইপো ছাড়া আর কারো কাজ আছে বলে জানিনা।
আরও পড়ুনঃ বৈদ্যুতিক টাওয়ারের উপরে যুবক, চাঞ্চল্য ফাঁসিদেওয়ায়
যত তাড়াতাড়ি রাজ্য থেকে তৃণমূল বিদায় নেবে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ভাল হবে।” অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু কলকাতাতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবির পাশে তৃণমূলের নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ছবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “বিজেপি দল কোন দিন কারো সাথে কারো ছবি লাগায় না এটা তৃণমূলের কাজ।
কালীঘাট প্রাইভেট লিমিটেডের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে, কাটমানি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, বাংলায় হিটলারি শাসনের বিরুদ্ধে যদি জনগণের এই যুদ্ধে কেউ শামিল হতে চাই, আমাদের দলে তাকে স্বাগত জানায়।” বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং আজ সকালে বলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও পাঁচজন তৃণমূলের সাংসদ বিজেপি’র পথে। সে বিষয়ে, সায়ন্তন বসু জানান,”কালীঘাটের দুজন ছাড়া এই দলে আর কেউ মনে হয় থাকতে চায় না। আমি কারও নাম করে বলতে চাই না।
আরও পড়ুনঃ বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শিলিগুড়িতে
শুধু আজকেই নয় প্রতিনিয়ত বিজেপিতে যোগদান করছে। তৃণমূল পার্টি আস্তে আস্তে ভ্যানিশ হয়ে যাবে, এসব পিকে বিহার থেকে ধার করে এনে কোন লাভ হবে না। সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা যদি জনগণের খাতে দিত তাহলে মানুষের উপকার হত। বিহারের বুদ্ধি নিয়ে এসে পিকে কে এনে জনগণের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন লাভ হবে না।
আমার মনে হয়।” নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলের যাত্রা শুরু হয়েছিল, নন্দীগ্রামের নদীতেই তৃণমূলের যাত্রাপথ শেষ হবে। যেখানে তৃণমূল শুরু করে ছিল সেখানেই তৃণমূল শেষ হবে বলে মন্তব্য তার। মূলত বিধানসভা ভোটের নিরিখে ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি তাদের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে এটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584