‘নদীতে মৃতদেহ ছুঁড়ে ফেলার ঘটনায় মিডিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়নি তো?’ বিদ্রুপ শীর্ষ আদালতের

0
114

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

সোমবার দুটি তেলুগু টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশের দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার শুনানিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য, ‘গতকাল টিভিতে দেখলাম কোভিড মৃতদেহ নদীতে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। সেই টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে এখনো রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়নি!’

sc | newsfront.co
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র

এই রাষ্ট্রদোহিতার মামলায় সোমবার অভিযুক্ত এক সাংসদের জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার ২টি তেলুগু চ্যানেলের বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের দায়ের করা এই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। এই শুনানিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এমনই তির্যক মন্তব্য করে। বিচারপতি বলেন, ‘দুটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ, বিচলিত করার মতো ঘটনা। এখন আদলতকেই রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ সম্মুখ সমরে রাজ্য ও কেন্দ্র! আলাপন বিতর্কের সমাপ্তি, রাজ্যেই থাকছেন বাঙালি আইএএস

কোভিড মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির সমালোচনা করছে দুটি টিভি চ্যানেল। দু’সপ্তাহ আগে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার।

পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার অভিযোগে শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ রঘু রামকৃষ্ণ রাজুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয় এবং তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। সাংসদ রাজু এবং সংশ্লিষ্ট দুটি টিভি চ্যানেল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

আরও পড়ুনঃ লাগাতার তৃণমূল বিরোধিতাই ভোটে ভরাডুবির প্রধান কারণ, মেনে নিল সিপিআইএম

সাংসদ রাজুর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহের সীমারেখা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ জগন্মোহন সরকারের কাছে ‘ধাক্কা’ বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি উদয় ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয় যে, নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা করলেই তা রাষ্ট্রদ্রোহ হতে পারে না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারা অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহ-র অপপ্রয়োগ সম্পর্কে তখনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here