নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
আইএসএফ- এর মাত্র একজন বিধায়ক জোটের পক্ষে। এছাড়া এবারের বিধান সভা একেবারেই বাম শূন্য। এই ভরাডুবির কারণ খুঁজতে বসে সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক। জানা গিয়েছে সে ভার্চুয়াল বৈঠক কার্যত মাছের বাজারে পরিণত হয় সকলের মতামত ও তকাতর্কির ঠ্যালায়। তবে যতই মতানৈক্য থাক, বৈঠকে বাম ভরাডুবির বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন নেতৃত্ব।
প্রথমত সকলেই কার্যত মেনে নিয়েছেন যে শুধুমাত্র লাগাতার তৃণমূল বিরোধীতা বেশ বেকায়দায় ফেলেছে তাঁদের, মানুষ একে মোটেই ভালো মনে নেননি। দ্বিতীয়ত ব্রিগেডমুখী সব বাম যে আদৌ ভোটবাক্সে বাম নন সেকথাও মানছেন তাঁরা। জেলা নেতৃত্ব নিজেদের কাঁধ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন জোটের।
আরও পড়ুনঃ প্রতিহিংসা না প্রটোকল! প্রশ্ন সব স্তরে
কারণ আইএসএফ এর আব্বাস সিদ্দিকীর সাথে জোটের পরিকল্পনা ছিল শীর্ষ নেতৃত্বের, আরো সহজ করে বলতে গেলে জেলা নেতৃত্বের মতে জোটের সিদ্ধান্ত মূলত নিয়েছেন সূর্য-বিমান-সেলিম ত্রয়ী। তবে তাঁরাও জানিয়েছেন এখনই জোট ভাঙার কোনো পরিকল্পনা দল নিচ্ছেনা।
ভোটের ফলে ‘শূন্য’ পেলেও, মানুষ ভুল করেছেন.. এই বক্তব্য থেকে সরে আসছেন না বেশ কিছু বাম নেতা। এই ঔদ্ধত্য যে আজকের প্রজন্মেও চলে আসছে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেক নেতাই কিন্তু পাচ্ছে দল বিরোধী কথা বললে নেতৃত্বের কোপের মুখে পড়তে হয় সেই ভয়ে এ নিয়ে আর বিতর্কে যেতে চাননি তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ৩১মে কাজে যোগ দেওয়ার জরুরি নির্দেশ কেন্দ্রের
রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির ধারাবাহিক বিরোধিতা করাও ভোটে বামেদের ভরাডুবি ডেকে এনেছে তাও মানছেন নেতৃত্ব। বরং যে পরিমাণ বিজেপি বিরোধিতা করা উচিত ছিল খামতি থেকেছে তাতেও।তবে নতুন প্রার্থী যেমন ঐশী ঘোষ, সৃজন, প্রতিকুর, মীনাক্ষী, দীপ্সিতা দের নিয়েই পথ চলবে দল এটা স্পষ্ট, তবে পার্টির এই মুহূর্তে লক্ষ্য ‘শুধুমাত্র’ তৃণমূল বিরোধিতা ছাড়াও বিকল্প সন্ধান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584