শুভম বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাঃ
এক সময়ে সকাল থেকে বিকেল তাদের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বন্ধ স্কুল বাস চলাচল। এদিকে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালানোর ফলে বাইরে ও তারা বাস চালাতে পারছেন না। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা আর স্কুলে না আসায় অভিভাবকদের থেকে মিলছে না কোনও টাকাই। তাই এবার রাজ্যের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানাল স্কুল বাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় ৩০০০ স্কুল বাসের মালিক ও কর্মীরা।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। এতদিনেও কোন সুরাহা না হওয়ায় সাহায্য চেয়ে তাই আবেদন জানানো হল মুখ্যমন্ত্রী, পরিবহণ মন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে। প্রসঙ্গত, এই সমস্ত স্কুল বাস চলাচল করে কোথাও সরাসরি অভিভাবকদের সঙ্গে, কোথাও স্কুলের সঙ্গে চুক্তিতে বাস চালান। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত স্কুল। ফলে স্কুল বাসে করে যাতায়াতের দরকার নেই। এর জেরে গত পাঁচ মাসের অভিভাবক বা স্কুলের তরফ থেকে প্রাপ্ত টাকা এখনও হাতে পায়নি স্কুল বাস সংগঠনের সদস্যরা। যার জেরে তাদের ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে৷
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই বেলেঘাটা আইডি-তে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম কোভিড গবেষণাকেন্দ্র
রাজ্যের কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনারস অ্যান্ড অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মাসে তাদের জ্বালানি বাবদ খরচ হয় ২৯০০০ টাকা। চালকের বেতন ১২০০০ টাকা। হেল্পারের বেতন ৭৫০০ টাকা। সহকারীর বেতন ৭০০০ টাকা। গ্যারাজের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা। এছাড়া ট্যাক্স, বিমা, ব্যাংক লোন সহ একাধিক খরচ আছে। গত পাঁচ মাসে তারা একটা টাকাও সাহায্য পাননি। ফলে চালক, হেল্পারদের পরিবার নিয়ে চিন্তায় স্কুল বাস সংগঠন।
আরও পড়ুনঃ সরকারি দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের জন্যে এবার থার্মাল চেকিং শুরু কলকাতায়
হিমাদ্রী গাঙ্গুলী, সাধারণ সম্পাদক, ওয়েস্ট বেঙ্গল কনট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনারস ও অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছেন, “অভিভাবকদের কাছে আমাদের আবেদন, ৩০% ছাড় দিয়ে টাকা দেওয়া হোক আমাদের। না হলে আমরা ভয়ানক বিপদে পড়ব।” অন্যদিকে, এই সংগঠনের প্রায় ১৫০০ বাস বিভিন্ন অফিস ও আই টি সেক্টরে চলাফেরা করে। সেগুলি থেকেও কোনও টাকা তারা পাননি। এই অবস্থায় সরকারের দিকে তাকিয়ে তারা সকলেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584