সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
আনাজের দাম, গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমত অবস্থায় স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল চালাতে গিয়ে নাকানিচোবানি অবস্থা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। মিড ডে মিলের মেনু অপরিবর্তিত রেখে কিভাবে খরচ যোগাবেন তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের তরফে ব্লক বা পুরসভার মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাকে খেয়াল রাখতে হবে কোনও ভাবেই যেন পড়ুয়াদের পুষ্টিতে ঘাটতি না হয়।
আরও পড়ুনঃ দলীয় সভায় আপত্তিকর মন্তব্য সহ-সভাধিপতির
সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ডিম, প্রতিদিন মুসুর ডাল দিতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য তরকারির ওজন হতে হবে ১০০ গ্রাম, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ১৫০ গ্রাম। পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বরাদ্দ ৪ টাকা ৪৮ পয়সা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ৬ টাকা ৭১ পয়সা।
কিন্তু শিক্ষকদের দাবি, এই সময় আনাজের যা দাম তাতে সরকারি নির্দেশিকা মানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাঁধাকপি, ফুলকপি, পটল ঊর্ধ্বমুখী। তাছাড়া আদা, লঙ্কার দামও বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি। বেশ কিছু স্কুলে ডিম, পোস্ত, সয়াবিনের তরকারি হচ্ছে।
কিন্তু এই অতিরিক্ত খরচ কিভাবে জোগাচ্ছে তারা? এই প্রসঙ্গে নতুনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ হাবিবুল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত টাকা তাঁরাই দিচ্ছেন। বেশ কিছু স্কুলে মেনু বদলানো হয়েছে। কমাতে হয়েছে তরকারিতে আনাজের পরিমাণ।
এই পরিস্থিতিতে পুষ্টিগুণ বজায় রেখে পড়ুয়াদের পাত ভরানো সত্যিই উদ্বেগের বলে মনে করছেন অনেকেই। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত ঘোষালের দাবি, বরাদ্দ বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584