জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ
খবরের জের, অসহায় পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দুয়ারে পৌঁছালেন কান্দির এসডিও নবীন কুমার চন্দ্রা এবং বিডিও নীলাঞ্জন মন্ডল। তারপর এসেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে কাকলী রাজবংশী।
উল্লেখ্য, গতকাল খবরে দেখানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দী থানার অন্তর্গত মহলন্দী দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জীবন্তি হটাৎ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বিবির পরিবারে শারীরিক ভাবে অক্ষম এবং কর্মহীন ছেলে সানুয়ার সেখ একমাত্র টালির বাড়িতে কোনো রকমে মাথা গুঁজে থাকতো কিন্তু বৃষ্টির ফলে সেই বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ফলে বর্তমানে রৌদ্র, ঝড়, বৃষ্টির মধ্যেও দিন কাটাতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গতকালে এই খবর হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কান্দির এসডিও নবীন কুমার চন্দ্রা এবং বিডিও নীলাঞ্জন মন্ডল জীবন্তির অসহায় পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পৌঁছালেন একেবারে বাড়ির দুয়ারে। এই অসহায় পরিবারের বাড়িতে এসে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় বাসনপত্র, জামা কাপড়, চাল গম সহ প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্য সামগ্রী এবং আর্থিক সাহায্যও করা হয়। তার সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় কাগজ পত্র ঠিক করে থাকার জন্য আবাস যোজনার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার।
এছাড়াও মঙ্গলবার বিকেলে কান্দী পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় এই অসহায় পরিবারকে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাকলী রাজবংশী জানান, “এসে দেখলাম সত্যি খুব শোচনীয় অবস্থা রহিমা বিবির পরিবারের, আমরা চেষ্টা করছি রহিমা বিবির যেহেতু স্বামী মারা গেছে তার জন্য বিধবাভাতা এবং ছেলে সানুয়ারের জন্য সরকারি সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করার। ”
আরও পড়ুনঃ রামনগর থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবি
হাসি ফুটেছে পরিবারে। প্রশাসনের এমন মানবিক উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিবারের লোক থেকে শুরু করে এলাকাবাসী। তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিডিও নীলাঞ্জন মন্ডল সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এমন অসহায় পরিবারের খবর তুলে ধরার জন্য।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584