পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
প্রথমে প্রেমিকার কাছ থেকে প্রেমে প্রত্যাখ্যান, পরে প্রেমিকা ও প্রেমিকার নতুন পুরুষ বন্ধুর হাতে ব্যাপক মারধর। অপমানে আত্মঘাতী বছর একুশের সাঁইথিয়া অভেদানন্দ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

পাঁচ বছর ধরে সিউড়ি থানার অন্তর্গত মাঝিগ্রাম গ্রামের সজল দাসের সাথে প্রেম করত সিউড়ি থানার অন্তর্গত ইকরা গ্রামের প্রিয়াঙ্কা মাহারা। বাড়ি থেকেও সবকিছুই জানাজানি হয়ে ছিল সজলের। বিয়ের কথাও চলছিল তাদের মধ্যে। কিন্তু সবকিছুই ওলট পালট হয়ে যায় গতকাল। সজলকে ফোন করে ডেকে পাঠায় প্রিয়াঙ্কা ।এর পরই জানিয়ে দেয় তোমার সাথে আমার থাকা আর সম্ভব নয়, আমি অন্য ছেলেকে ভালোবাসি। তার নাম সৌরভ মাহারা। এরপরই দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যায়। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে প্রেমিকা প্রিয়াংকা ও নতুন প্রেমিক সৌরভ দুজন মিলে সজলকে ব্যাপক মারধর করে ।এবং প্রিয়াঙ্কাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে ,সজল তাদেরকে জানাই এতদিনের আমাদের এই সম্পর্কের ইতি এইভাবে হতে পারে না। তোমার জন্য আমি সব কিছু ত্যাগ করেছি, আমার বাড়িতে মেনে নেওয়া না সত্বেও জোর করে মানিয়েছি। আমার ক্ষমতার বাইরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস কিনে দিয়েছি তোমায়। তুমি আমাকে এইভাবে ছেড়ে যেতে পারো না। ডায়েরিতে অবশ্য সমস্ত কথার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা কোন কিছু কথা না শুনেই সজলকে ছেড়ে সৌরভের হাত ধরে সেখান থেকে চলে যায়। এর পর বাড়ি ফিরে আসে সজল। বাড়িতে কি বলবে এইভেবে কাউকে কিছুই বলতে পারেনি সে। অপমানে বিষের বড়ি খেয়েছে বলে দাবি পরিবারের। বিষ খাওয়ার পর দাদাকে ফোন করে সমস্ত কথা জানাই সজল। এরপর বাড়ির লোক তড়িঘড়ি করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় সজলের।
মৃতের পরিবারের এবং দাদার অভিযোগ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে সব কিছু জানা সত্ত্বেও আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে ওই মেয়ে আর ছেলে ।তাদের কঠোর শাস্তি চাই। সিউড়ি থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সমস্ত দিক মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584