নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম ‘তালওয়ার টকস’ কলকাতার গল্প শোনায়। চেনা জায়গার অজানা দিক ছোটো পরিসরে তুলে ধরেন এর স্রষ্টা ও উপস্থাপক অরুণ তালওয়ার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কল্লোলিনী কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের আকর্ষণীয় গল্পের খোঁজ নিয়ে আসেন লাইভ ভিডিও এবং আকর্ষণীয় পরিবেশনার মাধ্যমে।
কলকাতার অন্যতম হেরিটেজ সাইট নাখোদা মসজিদের বিশেষ পর্ব আজ এই ঈদের দিন তালওয়ার টকসের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক পেজে মুক্তি পেল। এই জার্নি কেবল এই অঞ্চলটিকে হাইলাইট করেনি, সামগ্রিকভাবে এই ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিসৌধের আশেপাশের জীবনধারাও তুলে ধরেছে। এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এবং তাদের উপার্জন, কর্মসংস্থানের মতো নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে নাখোদা মসজিদ ফিরে দেখার গল্প উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে শহরের প্রাচীনতম অঞ্চল চিতপুরের নস্টালজিয়াকে উস্কে দিয়েছে এই ভিডিও।অধিকাংশ কলকাতাবাসী ‘চিতপুর’ নামটা বললেই বুঝে যান সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত মুঘলাই রান্না, আতরের সুবাস, সুরমার দোকান, জামা কাপড়ের পসরা।
এই ওয়েব সিরিজ ‘শেহের-ই-কলকাতা’য় রয়েছে রমজানের সময় চিতপুরের রাস্তায় আলোকসজ্জা, উৎসব উদযাপন।’তালওয়ার টকস’-এর মাধ্যমে অতীতের ঐতিহ্যবাহী স্থানের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, তার স্থাপত্য এবং রক্ষনাবেক্ষণ, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষজনের সঙ্গে আলাপ হওয়া, আশেপাশের মানুষগুলোকে বোঝা সব মিলিয়ে একটা ছবি ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়ে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
এই পর্বে অরুণের সঙ্গে জাহিদ আহমেদের (ট্রাস্টি,কাচ্চি মেমন জামাত )সাক্ষাতে অনেক কিছুই জানা গেল। তিনি তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি আল্লার ভক্তিতে এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণে বাকি জীবন উৎসর্গ করেছেন। আশপাশের দোকান থেকে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করবেন যাতে এটি ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য থেকে যায়। প্রার্থনার পাশাপাশি, ইতিহাসের সাক্ষী ও এক অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য চিতপুরের অন্যতম অহংকার হিসেবে যাতে থেকে যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584