নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
চাকরীর দিকে না তাকিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়া যায় তাই প্রমাণ করে দিল ভাটিবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুবক দীপঙ্কর দাস। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের ভাটিবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চিকলিগুড়ি এলাকার যুবক দীপঙ্কর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বেকারত্বের জ্বালায় ভুগছিলেন । সংসারের দায়ভার সামলানোর জন্য সেই তখন থেকেই রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করলেন।
রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করার পর একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল কিনলেন। আর সেই মোবাইল থেকেই ইউটিউব ঘেটে তার মাথায় নতুন পরিকল্পনা জেগে উঠলো। ইউটিউবের সৌজন্যে একটি ডিম ফোটানোর মেশিন তৈরি করলেন যার জন্য তাকে ব্যয় করতে হয়েছে হাজার দেড়েক টাকা। এরপরেই তার শুরু হল কর্মকাণ্ড। প্রথম এক বছর একটি মেশিন দিয়ে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে মুরগী পালন শুরু করলেন । একুশ দিন এর মধ্যে পঞ্চাশটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় । প্রায় এক বছর বাচ্চা বিক্রি করে ভালো টাকা উপার্জন করে দীপঙ্কর । এর পর তার জীবনের গতিপথ বদল করার জন্য শুরু করেন মেশিন বিক্রি করা।
এরপর থেকেই তিনি মেশিন বানানোর কাজ শুরু করেন। দীপঙ্কর বাবু জানালেন যে এই মেশিন তৈরি করতে গিয়ে প্রথমে তাকে দরকার হয় একটি মাছের থার্মোকলের কার্টুন তার সঙ্গে দরকার ব্যাটারি অথবা বিদ্যুৎ অথবা ইনভার্টার জাতীয় কিছু। সঙ্গে দরকার বিদ্যুতের সরঞ্জাম। রয়েছে টাইম কিপার নির্দিষ্ট সময়ে বাল্ব জ্বলা নেভার জন্য। দীপঙ্কর বাবুর কথা থেকে জানা গেল ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে ২১ দিন সময় লাগে। আর এক একটি বাচ্চা তখন বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি হয় ৪০ টাকা করে।
এছাড়াও মুরগির বাচ্চা নিজের ফার্মে বড় করে তুলতে থাকেন। মুরগীর সঙ্গে রয়েছে হাঁসের বাচ্চা । আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার এই ডিম ফোটানো মেশিন নেওয়ার জন্য ভিড় জমেছে তার বাড়িতে। রীতিমত অগ্রিম টাকা দিয়ে আসছেন তাকে মেশিনের জন্য। সরকারি কোন সাহায্য তার জোটেনি । যদি কোন সরকারী সাহায্য মিলতো তাহলে দীপঙ্কর একা নয় আরও দশটি যুবক কে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারতো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584