নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
মহারাজাহাটে কাঞ্চন নদীর ওপর তৈরি অ্যাপ্রোচ রোডটি জলের স্রোতে ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে নদীর ওপারে থাকা রায়গঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েছেন রোগীর আত্মীয়রা।
গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় ২২ কিমি ঘুরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এদিকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির কেউই নৌকা বা বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা করেনি। ফলে সাতটি অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা ঝুমা বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ শেষ করার জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি। স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাপ্তাহিক হাট, পোস্ট অফিস, হাই স্কুল সহ সব কিছুই নদীর ওপারে।
আরও পড়ুনঃ গোয়ালপোখরের অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে মৎস্যচাষ
স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় করোনা আবহে গ্রামবাসীরা আরও বিপদে পড়েছেন। মহারাজাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের জল নদীতে চলে আসায় আজ অ্যাপ্রোচ রোডটি ভেঙে পড়েছে। সাতটি অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বাঁশের সেতু বা নৌকা কোন ব্যবস্থাই করা হয়নি।ফলে ২২ থেকে ২৫ কিমি ঘুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে হচ্ছে গর্ভবতী মহিলাদের। ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মহারাজাহাটে কাঞ্চনদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে রায়গঞ্জের একটি নির্মাণকারী সংস্থা। কিন্ত দেড় বছর পরেও নির্মাণকাজ সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুনঃ মুজনাই -এর দাপটে নদী গর্ভে কৃষিজমি
এক বছর আগে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পুরোনো সেতুর পাশ দিয়ে এই অ্যাপ্রোচ রোডটি তৈরি করা হয়েছে। প্রায় দুবছর আগে পুরানো সেতুটি বসে যায়। প্রশাসন থেকে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয়। পূর্ত দপ্তর সেতু নির্মাণের জন্য ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করে দেড় বছর আগে। নির্মাণকারী সংস্থা কাজ শুরু করলেও মাঝপথে বন্ধ করে দেয়। রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অমল সরকার জানান, তিনি রায়গঞ্জে থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে নৌকা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584