নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত দুটি বিদ্রোহী মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ক্যাম্প লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। ওই অঞ্চলে গত দু’সপ্তাহে মার্কিন সেনাদের ওপর বেশ কিছু রকেট হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযান চালায় বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এই হামলার ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ায় মোতায়েন যৌথ বাহিনীর অংশীদার ও মার্কিন মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ হামলায় সিরিয়া সীমান্তে ইরান-সমর্থিত কাইতিব হিজবুল্লাহ, কাইতিব সায়েদ আল শুহাদাসহ কয়েকটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর একাধিক ক্যাম্প ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক কালে যে রকেট হামলা হয়েছে, তার উপযুক্ত জবাব দেওয়াই এই অভিযানের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, বরং মার্কিন সেনাদের ওপর হুমকির বিষয়টিকেও এই অভিযানের মধ্যে দিয়ে মোকাবিলা করাও আরেকটি উদ্দেশ্য।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সিরিয়া-যুদ্ধের ওপর নজর রাখার জন্য ইউকে ভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নিশ্চিত করেছে যে মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানপন্থী ১৭ জন মিলিশিয়া নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ নীরব মোদীকে প্রত্যর্পণের অনুমতি ব্রিটেনের আদালতের
মার্কিন বাহিনীর এই অভিযান প্রসঙ্গে পেন্টাগন প্রধান কিরবি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর সদস্যদের রক্ষায় বিডেন প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে—অভিযানের মধ্য দিয়ে এই দ্ব্যর্থহীন বার্তাই পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে, আমরা স্বেচ্ছায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি; সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল ও ইরাকের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত করাই যার লক্ষ্য।“
আরও পড়ুনঃ চার ধাপে লকডাউন উঠতে চলেছে ব্রিটেনে, ৮ মার্চ থেকে খুলবে স্কুল
যেখানে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে সেই অঞ্চলটিকে মিলিশিয়ারা অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করত বলে জানা গিয়েছে। ভবিষ্যতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা করার ক্ষমতা হ্রাস করা এবং বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক হামলা সম্পর্কে বার্তা পাঠাতেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য পেন্টাগন প্রধানের। সিরিয়ায় হামলার সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রশাসনের একেবারে শীর্ষস্থান থেকে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আমেরিকার এক প্রতিরক্ষা আধিকারিক বলেন, সেনাবাহিনীর কোনো সুনির্দিষ্ট সুপারিশের ভিত্তিতে এই হামলা হয়নি।
বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন ও তেহরান। গতকালের হামলা সেই প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584