শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
স্বাধীনতা লাভেরও অনেক আগের কথা। প্রায় ১০০-১৫০ বছর আগে বালুরঘাট ব্লকের রঘুনাথপুর অঞ্চল ছিল জঙ্গলময়। স্রোতস্বিনী আত্রেয়ী নদীপথে ডাকাতরা তখন ডাকাতি করতো। আর এই রঘুনাথপুর এলাকাতে তাদের একটি দল পুজো করতো তারাকালী মায়ের।
এরপর আত্রেয়ী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। ধীরে ধীরে রঘুনাথপুর অঞ্চলে জনবসতি গড়ে ওঠায় ডাকতরা এই অঞ্চল থেকে চলে যায় অন্যত্র। ফলে তারাকালী রয়ে যান লোকচক্ষুর আড়ালে। আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগে এলাকার কেউ তারাকালীর স্থান খুঁজে পেলে এলাকার মানুষকে জানায়। ধীরে ধীরে সেখানে গড়ে ওঠে মায়ের মন্দির।
কিন্তু এর মাঝে ঘটে এক অবাক কান্ড। যে ব্যক্তি তারাকালীর স্থান খুঁজে পেয়েছিলেন মা তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন। মন্দির তৈরি করতে বারণ করেন। জানিয়ে দেন পুজোর নিয়মাবলী। তার পর থেকে এখানে পুজো হয়ে আসছেন তারাকালী।
আরও পড়ুনঃ দুশো বছরের পুরনো খাঁ পুরের জয়কালী পুজো নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভক্তকুল
দেবী এখানে বৈষ্ণব মতে পুজিতা হন। কিন্তু দেবীর নির্মাণ শুরু হয় কালি পুজোর দিন, সূর্যাস্তের পর এবং আকাশে তারা থাকতে থাকতেই পুজো সম্পন্ন করে বিসর্জন দেওয়া হয়। আকাশে তারা থাকতে থাকতেই দেবীর নির্মাণ, পুজো ও বিসর্জন সম্পন্ন হয় বলে দেবী এখানে তারাকালী নামে খ্যাত। এই জাগ্রত দেবীর পুজো উপলক্ষ্যে অনেক লোক সমাগম হয় বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584