শ্যামল রায়, নদীয়াঃ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। লকডাউনের কারণে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লী বন্ধ থাকার কারণে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছিলেন বিভিন্ন যৌনকর্মীরা। কালনা কাটোয়া ও শান্তিপুর এলাকা সহ দুটি জেলার একাধিক নিষিদ্ধ পল্লীর যৌন কর্মীরা হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছিলেন।
বুধবার দেখা গেল নবদ্বীপ শহরের, কালনা শহর ও শান্তিপুরের নিষিদ্ধ পল্লীতে যৌনকর্মীরা পূর্বের মত সেজেগুজে রাস্তার পাশে খদ্দেরের অপেক্ষা করছেন। অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত তারা এতটাই আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন যে আর কাজ করতে না পারলে চরম সমস্যায় পড়বেন এবং ছেলে মেয়েদের না খাইয়ে মরতে হবে। আনলক চালু হলেও খদ্দের নেই। কারণ সকলের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। সারাদিনে একজন বা দুইজন খদ্দের পাওয়া গেলেও বাকিদিনই উপোস থাকতে হচ্ছে তাদের বলে জানান তারা।
আরও পড়ুনঃ বারুইপুরে প্রধানমন্ত্রী গৃহ সম্পর্ক অভিযানে অংশ নিলেন দিলীপ ঘোষ
অনেকেই বলছেন “আমাদের জীবনটা অন্যদের থেকে একটু আলাদা। মানুষজন আমাদের কাছে না আসলে আমাদের কোন উপার্জন হবেনা তাই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এবং লকডাউন চলাকালীন আমরা চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছি। তবে নিষিদ্ধপল্লি বাদেও রয়েছে প্রচুর গেস্টহাউস। নবদ্বীপ, মায়াপুর সহ বিভিন্ন শহরে। মানুষজন ঘরবন্দি থাকার কারণে কৃষ্ণনগর শান্তিপুর নবদ্বীপ মায়াপুর কালনা প্রভৃতি গেস্টহাউসে যারা যৌন ব্যবসার সাথে যুক্ত, তারা ভয় পাচ্ছেন গেস্ট হাউসে যেতে। তবুও মায়াপুরে মাঝেমধ্যে ফ্লায়িং মহিলাদের যাতায়াত লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে অনেকেরই মত। তবে ভয়ে ভয়ে অনেকেই বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন গেস্ট হাউসে যেতে পারেন বটে তবুও লোকজনের অভাব ঘটায় অনেকেই বাড়ি ফিরে আসছেন এমনটাও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মায়াপুর ইসকন রথযাত্রায় থাকবেন শুধুমাত্র ভক্তরা
তাই নিষিদ্ধপল্লি সহ বিভিন্ন গেস্ট হাউসে যারা সময় কাটান তাদের পক্ষেও করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দিনযাপন করতে হচ্ছে সংকটের মধ্যে দিয়ে। অনেকেই বলছেন এই পরিস্থিতি কবে কাটবে? একটা সাঁড়াশি আক্রমণের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র বেঁচে থাকতে হচ্ছে সকল অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584