সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
আগের থেকে নতুন রূপে সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর মেলা। তাই এই মেলায় নিয়মিত তীর্থযাত্রীদের ভিড় হচ্ছে। তবে এই গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করেও ঢুকে পড়েছে সিএএ-এনআরসি বিতর্ক। গঙ্গাসাগরে আগত সাধু শঙ্করাচার্যের কথায় প্রকাশ পেল মোদি ও এনআরসি সংক্রান্ত বিতর্কের দু-এক কথা।
শঙ্করাচার্যের কথায়, ইংরেজরা দুশো বছর ধরে এদেশে শাসন চালানোর সময়ে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যেই সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়িয়ে দিয়েছিল। খ্রীস্টানদের মধ্যে ছড়ায়নি।
কারণ তারা বহুমাত্রায় মানুষকে খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী করতে চেয়েছিল। ব্রিটিশরা কূটনৈতিক ছিলেন, তাই হিন্দু-মুসমলমানের মধ্যে বিভেদ ঘটিয়ে এদেশের বিচিত্রতায় ফাটল ধরিয়েছে তারা, যার ফলাফল এখনও সাধারণ জনগণকে ভুগতে হচ্ছে।
পাশাপাশি গান্ধি পরিবারের সাথে ব্রিটিশদের যোগসাজশকে এখাত নিয়েছেন শঙ্করাচার্য। তিনি বলেছেন তখন ভারতবর্ষে পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে প্রায় তিনশোধিক রাজা ছিলেন।
ভারতবর্ষ থেকে সেই রাজাদের শাসনকাল উঠিয়ে ব্রিটিশরা গান্ধির দলকে দেশের হাল ধরবার দায়িত্ব অর্পণ করে, কারণ দেশের সাধারণ মানুষ বাপুর মতো একজন আদ্যপান্ত মানুষের দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত ছিল, যত না রাজারাজদের শাসনে প্রভাবিত ছিল।
আরও পড়ুনঃ কাঁথিতে বিবেকানন্দ মেলা-প্রদর্শনী
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ার ইনডোর স্টেডিয়ামে শ্রমিক মেলার সূচনা
শঙ্করাচার্যের কথানুযায়ী, মোদি সরকার কংগ্রেসের দেখানো পথেই দেশে শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছেন। তবে সম্প্রতি সিএএ বিতর্কে দেশে যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়িয়েছে তাকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না তিনি। কিন্তু অন্যদিকে এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শঙ্করাচার্য।
পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলের প্রশংসা করে বলেছেন, এই সরকার বাংলায় ভাল কাজ করছে। আগে গঙ্গাসাগর মেলা মাত্র দুদিনের জন্য ছিল। এখন এটি সাতদিন ধরে হয়। তাই এর ব্যাপ্তি এবং আগত তীর্থযাত্রীদের ভিড় আগের থেকে অনেক বেশি হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584