উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
রাজ্য সরকারের পদত্যাগী মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী যেমন তৃণমূল দলের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলছেন, তেমনি নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে পরোক্ষে বিজেপির ওপর চাপ তৈরি করলেন বনগাঁর বিজেপি সংসদ সদস্য শান্তনু ঠাকুর।
রাশ উৎসবকে সামনে রেখে শান্তনু ঠাকুরের দাবি, “মতুয়াদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সিএএ আমাদের অধিকার। আমরা ভারতবর্ষে নাগরিকত্ব চেয়েছি।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের থেকে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ কেন্দ্র ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। লোকসভার বিধানসভা ওয়াড়ি ফলাফলে ৬টি বিধানসভা আসনে বিজেপি ও ১ টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল। সেবারে তাদের অন্যতম ইস্যু ছিল সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব আইন। কিন্তু সে কথা সামনে তুলে ধরে ভোট বৈতরণী পার হয় বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার থেকেই ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’, ১০ প্রকল্পে বিস্তারিত সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা মুখ্যসচিবের
কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তা কার্যকর না হওয়াতে কিছুটা অস্বস্তিতে বিজেপি। আর এই অবস্থায় বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুললেন মতুয়া বাড়ির অন্যতম সদস্য তথা সাংসদ শান্তনু। তার মন্তব্য, ‘এখনও কেন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হল না?’
বিধানসভা ভোটের আগে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। জোরদার লড়াই চলছে। কেউ কাউকে একচুলও জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। এই অবস্থায় খোদ দলেরই সাংসদের এহেন মন্তব্যে ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ রাস পূর্ণিমাতে জ্যোতির্ময় লোকনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপান বালুরঘাটে
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া যে আর কিছুই করেনি, সেটাই তো ওনার কথায় পরিষ্কার। উল্লেখ্য, আগামী ৯ ডিসেম্বর বনগাঁয় জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগে শান্তনু ঠাকুরের সতর্ক বার্তার চাপে পড়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে, বারাসতে দলবদল অব্যাহত। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিল দুই শতাধিক মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে বহু মতুয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584