নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর বাবা আবদুল রশিদ শোরা। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই নিজের মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তাঁর মেয়ে শেহলা-র। শেহলা-র বাবার আরও অভিযোগ, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্যও মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন বামপন্থী এই ছাত্রনেত্রী। শেহলা নাকি নিজের দেহরক্ষীকে দিয়ে তাঁর বাবাকে খুনের চেষ্টাও করেছেন। এই সবকটি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেএনইউ এর প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী, সমাজকর্মী শেহলা রশিদ।
1) Many of you must have come across a video of my biological father making wild allegations against me and my mum & sis. To keep it short and straight, he's a wife-beater and an abusive, depraved man. We finally decided to act against him, and this stunt is a reaction to that. pic.twitter.com/SuIn450mo2
— Shehla Rashid (@Shehla_Rashid) November 30, 2020
জানা গিয়েছে, শেহলা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে আব্দুল রশিদ শোরার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ চলছে। শেহলা জানিয়েছেন, তাঁর বাবা ভয়ানক অত্যাচার করতেন তাঁর মায়ের ওপর, সে কারণে নারী নিগ্রহের অভিযোগ ও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, মোদীর ডাকে সর্বদল বৈঠক শুক্রবার
সর্বোপরি, কাশ্মীরের এক আদালত শেহলা-র বাবাকে তাঁদের শ্রীনগরের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নভেম্বর মাসে। অর্থাৎ,শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, পারিবারিক জীবনেও প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছেন তিনি। সেকথা একটি টুইট করে জানিয়েছেনও শেহলা।
নিজের সম্পত্তির উপর অধিকার হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ আবদুল রশিদ শোরা, সেকারণেই প্রকাশ্যে নিজের মেয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করে চলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ২০১৭ সালে শাহ ফয়জলের রাজনৈতিক দলে (তখনও দল প্রতিষ্ঠিত হয়নি) যোগদানের জন্য শেলাকে ৩ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। সেই ঘুষের টাকা এসেছিল এমন দু’জনের কাছ থেকে যারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুনঃ সবাই সন্ত্রাসবাদী, ভারতীয় কী শুধু বিজেপি কর্মীরা- প্রশ্ন মুফতির
আবদুল রশিদ শোরার দাবি, তাঁর স্ত্রী এবং শেহলার বড় বোনও এই চুক্তিতে অংশীদার। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই তিনি এই চুক্তিতে আপত্তি ছিল তাঁর। কিন্তু সবকিছু অগ্রাহ্য করে, শেহলা চুক্তিটি গ্রহণ করেছিল। তিনি এও বলেন যে এইসব তথ্য প্রকাশ্যে আনলে নিজের দেহরক্ষী দিয়ে তাঁকে খুন করবেন এমন হুমকিও দিয়েছিলেন শেহলা। যদিও গত তিন বছরে আব্দুল রশিদ শোরা কখনও পুলিশে অভিযোগ জানাননি এই বিষয়ে বা মামলা চলাকালীন আদালতেও জানাননি।
স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগের পর অস্বস্তিতে পড়েছেন শেহলা রশিদ। টুইটারে পালটা এক বিবৃতি দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বাবা যে অভিযোগ করছেন, তা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং নিন্দনীয়। আদালতের নির্দেশে বাড়িতে ঢোকার অধিকার হারানোর পর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এইসব বলছেন তিনি।
জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী বরাবরই মোদী তথা বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া এবং জঙ্গিযোগের অভিযোগের পর আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584