শ্যামল রায় নদীয়াঃ
সোমবার সকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শান্তিপুরে এক নির্দল প্রার্থী। গুলিবিদ্ধ ওই নির্দল প্রার্থীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে ওই নির্দল প্রার্থীর নাম বিশু রাহা।
জানা গিয়েছে যে এদিন ভোটের জন্য সকাল বেলায় বাড়ি থেকে বের হন তিনি।
শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গবার চরায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।
বিশুরা তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য গুলি করেছিল।
কোনরকম ভাবে প্রাণে বেঁচে তিনি এখন চিকিৎসাধীন।
তবে শাসকদলের উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন ভোটাররাও।
ভোটের দিন বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বুঝা গেল যে সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আর বিরোধীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পড়তো।
বহু নতুন ভোটার ভোট দিতে না পারার কারণে ক্ষোভে ফুঁসছেন।
নতুন ভোটাররা বলছেন আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি ভোটাধিকার আমাদের স্বাধীনতা।
কিন্তু শাসক দল যেভাবে সন্ত্রাস করে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা দান করেছে তাতে আমরা এই বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছিনা।
গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনেই ভোট হওয়া উচিত বলেই দাবি ভোটারদের।
এদিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গুলোতে দেখা গেছে যে শাসকদলের আদিবাসী বেশি বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা দখল করে নিয়েছিল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি। বিরোধীদের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেয়নি অনেক স্থানে।
মাঝেমধ্যেই পুলিশ গাড়ি দেখলে অনেক কর্মী-সমর্থকরা কিছুটা হলেও দূরে চলে যাচ্ছেন। পুলিশ চলে গেলে এফের ওইসব জায়গায় আবার বহিরাগত বহু দুষ্কৃতী আনাগোনা করছে বলে বিরোধী তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভৌমিক তথা নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন যে শাসকদলের সন্ত্রাসের কাছে আমাদের বিরোধীরা অনেকেই প্রাণের ভয়ে এগোয়নি। জেলার সর্বত্র ছাপ্পা ভোট করিয়ে নিয়েছে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরী শংকর দত্ত একথা মানতে নারাজ তিনি বিরোধীদের মিথ্যা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন যে সরকারের উন্নয়নের কাছে ভোটাররা নিশ্চিত আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি জেলায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584