মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের পুন্ডিবাড়ি থানার চন্দনচৌরা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই যুবকের নাম চন্দন দে। সে বর্তমানে কোচবিহার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাপি রায় ও তাঁর বাবা অনিল রায় পলাতক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবক বিজেপি কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত।
অন্যদিকে অভিযুক্ত বাপি দাস এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস করেন। আর সেই কারনেই ওই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারন থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুলিবিদ্ধ চন্দন দের ভাই মিলন বাবু জানিয়েছেন, গতকাল রাতে তাঁদের বাড়িতে কীর্তনের অনুষ্ঠান চলছিল। রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ চন্দন বাবুকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী বাপি দাস।
আরও পড়ুনঃ খড়গ্রামে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা
এরপর থেকে তাঁর আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গভীর রাতে বাপির বাবা অনিল রায় এসে চন্দনের বাবাকে ডেকে নিয়ে যান। তখনই ওই ঘটনার কথা জানতে পারে পরিবারের লোকজন।
মিলন বাবু বলেন, “প্রথমে দাদার কোমরের উপড়ে গুলি চালায় বাপি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাইকে চাপিয়ে পুন্ডিবাড়ি ব্লক হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কোচবিহারে রেফার করা হলে বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কোচবিহারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ এসে তাঁদের বাড়িতে পায় নি।”
চনন্দের স্ত্রী বলেন, “কাল রাতে থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে ছিলাম। আমাকে প্রথমে জানানো হয় নি। আজ সকালেই সবটা জানতে পারলাম। কিছু একটা হয়ে গেলে ছোট শিশু নিয়ে আমি কি করবো?”
পুন্ডিবাড়ির বিজেপি নেতা সুকুমার রায় বলেন, “ আমাদের দলীয় কর্মী মদন দের ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করা হয়। আমরা চাই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। না হলে আমরা সন্ত্রাস বন্ধে আন্দোলনে নামবো।”
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ অবশ্য দাবী করেছেন,“ওই ঘটনার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন সম্পর্ক নেই। এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে হয়েছে। এখন তৃণমূলের উপড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584