জগন্নাথদেবের মন্দির প্রতিষ্ঠায় বিধায়ক

0
79

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার রানীপুরে, রানীপুর রথযাত্রা কমিটি ও গ্রামবাসীর যৌথ উদ্যোগে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই মূল মন্দিরটির উদ্বোধন করেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী অমরত্যানন্দ মহারাজ।

shree jagannath temple established in midnapore | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীধাম মায়াপুরে ব্রহ্মচারী শ্রী রূপসনাতন দাস ,বিশিষ্ট অতিথি নারায়ণগড় ব্লকের বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষ, ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঘোষ, ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ্ সহ অন্যান্যরা।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষ বলেন -“আমি ধর্ম নিয়ে বেশি কথা বলতে পারবোনা। কারণ আমরা রাজনীতি নিয়ে বেশি কচকচানি করি। ধর্ম নিয়ে কথা বলার সময় নেই।এর সঙ্গে তিনি আরও বলেন -আমরা দেবতার আরাধনা করি কারণ আমার বাড়ি, প্রতিবেশী, ভাই ,বন্ধু ,কাকা তারা যেন সবাই সুখে থাকে শান্তিতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শিক্ষামন্ত্রীর

shree jagannath temple established in midnapore | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আজকে যে মন্দিরটা প্রতিষ্ঠা হল এখানে গ্রামের মানুষের একটা জায়গা তৈরি হলো যেখানে এলাকাবাসীরা তাদের অবসর সময়ে মনের দুঃখ যন্ত্রণা বেদনার কথা বলতে পারবে আর মনের শান্তি পাবে।”

জগন্নাথ দেবের মূল অধিষ্ঠান উড়িষ্যাতে হলেও আমাদের বাংলাতেও বহু মানুষ তার পূজার্চনা করে থাকেন। অনেকে উড়িষ্যাতে গিয়ে জগন্নাথ দেবের পুজো দিতে যান।

আবার অনেকের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। তারা এবার এই মন্দিরে জগন্নাথ দেবের পুজো দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।অপরদিকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন -“ধর্মের মাধ্যমে আমরা ভগবানের জব করি।

আরও পড়ুনঃ শান্তিপুর সাংস্কৃতিক আয়োজিত নিয়মিত থিয়েটার ঘিরে উদ্দীপনা

আমরা আমাদের মনের মধ্যে সংস্কার আনতে পারি। কারণ একটি প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে হলে তার মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি সেই সঙ্গে মানবিকতা মানসিকতার প্রয়োজন আছে। অতএব যার জন্য এলাকাবাসী আজকে এই দেবতার প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন ।”

তবে আজকের এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠান কোন রাজনৈতিক রঙ ছিল না। ছিল গ্রামবাসীর বহুদিনের ইচ্ছেপূরণের দিন।তাই মন্দির প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর ভিড় এবং আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

মন্দির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ছিল যাগ-যজ্ঞের আয়োজন এবং শেষ বেলায় উপস্থিত সবার জন্য ছিল বসে খিচুড়ি প্রসাদ সেবনের ব্যবস্থা। তবে এলাকাবাসীর বহুদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি তারা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here