নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ভবতারিণী মন্দিরে ২৫ বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে শ্যামাপুজো ও শিবরাত্রির জলঢালা অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার বিশেষত্ব, ব্লেড দিয়ে বাম হাতের আঙ্গুল কেটে সেই রক্ত শ্যামামায়ের মূর্তির কপালে ছুঁইয়ে মন্দিরে উপস্থিত মানুষজনদের কপালে পরিয়ে দেওয়া। তাঁর পরেই শুরু হয় মায়ের পুজার্চনার কাজ।
মন্দির প্রতিষ্ঠাতা করেন পরানচন্দ্র মান্না। ২৫ বছর আগে বিশাল জায়গা জুড়ে শ্বশান ছিল। সেখানেই পরানবাবু স্বপ্নাদেশ পেয়ে শ্বশানের গায়েই জায়গা বের করে মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ছিলেন পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া হাইস্কুলের শিক্ষক, বর্তমান বয়স আশি ছুঁই ছুঁই।
তিনি ঘুমের মধ্যে একদিন কালী মায়ের স্বপ্নাদেশ পান, তার পরেই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়,চলে নিত্য পুজো। যা আজ পাঁশকুড়াবাসির কাছে ঐতিহ্যবাহী ভবতারিণী কালি মন্দির নামে পরিচিত।
মায়ের নিত্য পুজোয় মিষ্টান্ন থাকে, তিন বছর আগে এই মন্দিরে পশু বলি হোতো, পরানবাবু নিজেই পশু বলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, তিনি বলেন কোনো পশুর প্রান নিয়ে তাঁকে কষ্ট দিয়ে মায়ের পুজো হয় না, তাই তিনি নিজের হাতের আঙ্গুল কেটে কালী মায়ের কপালে রক্তে রাঙিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ কুনার হেমব্রম
মন্দিরের পঞ্চমুন্ডির আসনে বসে মায়ের আরাধনা করেন পুরোহিত। ভবতারিণী মন্দিরের পাশেই রয়েছে ৫২ ফুট উচ্চতার শিব মূর্তি, এছাড়াও পনেরোটি শিবলিঙ্গ রয়েছে এই মন্দিরে। রয়েছে শ্যামামায়ের ৩২ টা রূপের মূর্তি।
বহু মনিষীর মূর্তিও বর্তমান এই মন্দিরে। মাতঙ্গী, ছিন্নমস্তা, কমলা, ভৈরবী, শ্যামা, বগলা, কালরাত্রি কাত্যায়নী, সিদ্ধিদাত্রী সহ আরও অনেক। হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় এই মন্দিরে।
মায়ের সারা অঙ্গ ভারী ভারী রুপোর অলংকারে সাজানো হয়। পঁচিশ বৎসর উপলক্ষ্যে পঁচিশটা ঢাক ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে ঘট উত্তোলন করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584