সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
শতাধিক বছর ধরে চলে আসছে গ্রামের অন্নভোগ বিতরন ভোজন উৎসব।শীতলা ও বিশালাক্ষ্মী পূজা উপলক্ষ্যে চলে এই ভোজন। গ্রামের প্রবীন নবীন আনন্দে মেতে থাকে।আত্মীসমাগমে উৎসব মূখর হয়ে ওঠে অক্ষয়নগর বিশালাক্ষ্মীপুরের আশুবাবুর চকগ্রাম।
দক্ষিন সুন্দরবনের কাকদ্বীপ ব্লকের এই অক্ষয়নগর আশুবাবুরচক গ্রাম।গ্রামে রয়েছে শতাধিক বছরের জমিদারদের প্রাচীন মন্দির। একটা সময় সনামধন্য জমিদার সুন্দরবনে প্রতিষ্ঠা করেন মা শীতলা ও বিশালক্ষ্মী মায়ের মুর্তি।জমিদারি প্রথা অনুযায়ী চলে আসছে মায়ের পূজা।শীতলা মায়ের পান্তা ভাত রান্না পূজা হিসাবে সর্বত্র গন্য হলেও,এই গ্রামে পান্তা ভাতের বদলে দেওয়া হয় গরম ভাত সঙ্গে মাছ। এই পূজার রীতি দুদিন ব্যাপী চলে অন্ন ভোগ ভোজন।সঙ্গে বিতরন পর্ব।আজ জমিদার প্রথা গ্রামে নেই।
তাই গ্রামবাসীদের সহযোগে চলছে শীতলা ও বিশালক্ষ্মী পূজা।আশুবাবুর চক গ্রামে রয়েছে বর্তমানে তিনহাজার মানুষের বাস। জীবিকা বলতে চাষ আবাদ।বছরের সংসার খরচ বাঁচিয়ে যেটুকু সঞ্চয় হয় তা সঞ্চয় করে গ্রামবাসীরা শীতলা বিশালক্ষ্মী পূজা নিয়ে মেতে থাকেন।এই বছরে একবছর অন্তর হয় কালি পূজা।এছাড়া লক্ষ্মী পূজা বা বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন অনুষ্ঠানও আছে। গ্রামবাসিরা বড় পূজা বলে মনে করেন শীতলা ও বিশালক্ষ্মী পূজাকে।আজও গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করেন শান্তি সমৃদ্ধি বজায় রাখবেম মা শীতলা ও মা বিশালক্ষ্মী।রীতি ও তীথি অনুযায়ী হয় পূজা। তিন হাজার গ্রামবাসীর সঙ্গে আত্মীয়পরিজনদের নিয়ে এবারে আয়োজন করা হয়েছে।
চাল ৩ কুইন্টাল ৩০ কেজি,মাছ সারে চার কুইন্টাল, এছাড়া ডাল আলু সবজি রয়েছে কুইন্টাল কুইন্টাল।সুস্বাদুু ঠাকুরের ভোগে একসঙ্গে চলে মন্দির চত্তরে রান্না।
আরও পড়ুনঃ শতবর্ষ প্রাচীন চঞ্চলা কালির পুজো ঘিরে উদ্দীপনা
রাতেই পূজার পর অন্নভোগ বিতরন করা হয়।এবারে ভাত ,ডাল, মাছ ,সবজি সঙ্গে ছিল পায়েস, চাটনি ও মিষ্টি। আশুবাবুর চকে পূজা উপলক্ষ্যে ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিচিত্রানুষ্ঠান।ভক্তদের ভক্তি আর বিশ্বাসে চলে আসছে শতাধিক বছরের শীতলা বিশালাক্ষ্মীপুর মায়ের পূজা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584