সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
সময় বদলেছে, বদলেছে সুন্দরবনের হাল-হকিকত। কিন্তু বদলায়নি গ্রামবাসীদের চাওয়া-পাওয়া। চলতি বছরের দক্ষিণ সুন্দরবনের সাতটি ব্লক-সহ নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ, মৌশুনী, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বুলবুলের প্রভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নোনা জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের জমি, মাছের ভেড়ি, বসত বাড়ি, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় থেকে সাতটি গ্রামের নদীবাঁধ। আইলার পর এমনিতেই নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম প্রান্তে থাকা বঙ্গোপসাগরের মোহনার নদী বাঁধ।
ভাঙা লাইটপোষ্ট পড়ে রয়েছে কারোর বাড়ি কোথাও আবার রাস্তার উপর। বিদ্যুৎ বিছিন্ন বহু গ্রামে। অনেক বাড়িতে চাল উড়ে চলে গিয়েছে, কেউ বা খোলা আকাশের নীচে বসে দিন গুনছেন । প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ গরু দেখাশোনায় কমে কয়েদিদের ‘অপরাধমূলক মানসিকতা’, মন্তব্য আরএসএস প্রধানের
সামগ্রিক ত্রাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। বিশেষ করে হরিপুর, মহারাজগঞ্জ, লায়ালগঞ্জ, চন্দনপিড়ি, চন্দনগঞ্জ, এই সমস্ত এলাকার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অধিকাংশ মানুষের হাতে দলীয় ভাবে বেছে বেছে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও বেশিরভাগ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী থেকে। ফলে চাওয়া-পাওয়ার সংখ্যাটা বেড়েছে দিন কে দিন। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি একটাই স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতার হাত বাড়াক সরকার ।
আরও পড়ুনঃ সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ইরাকে, বাগদাদে গুলিতে নিহত ২০
২০০৯ সালের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বাসিন্দা ভুলতে পারছে না সেই দিনের কথা, যেদিন আইলা ঘূর্নিঝড় বিধস্ত করে ছিল হরিপুরের মানুষদের। আইলার দিনগুলো কাটতে না কাটতে আবার বুলবুল ঘূর্ণিঝড় কেড়ে নিয়েছে অঞ্জনা, অরবিন্দ, শাকিল, মমতাজ বেগমদের ঠাঁই গোঁজার স্থান।
বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যে সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালী, দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা পরিষদের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত কুমার মালী, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধান-সহ গ্রাম সভার সদস্যরা পঞ্চায়েতের বহু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন।
জেলার ডিম ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অভিযোগ এনেছেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালী। হারিয়ে যাওয়া মানুষদের বসতবাড়ি, অভাব-অভিযোগের প্রতিটি জায়গায় আশ্বাস প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে তাদের সমস্যা সমাধানের কথা জানিয়েছেন বিধায়ক বম্কিম চন্দ্র হাজরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584