সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল স্কুল শিক্ষিকা হওয়ার। ইংরেজিতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও দশের মুখ উজ্বল করবে।গরীব পরিবারে উপার্জনের হাল ধরবে।সেই স্বপ্ন আজ কার্যত দুস্বপ্ন হতে চলেছে সুন্দরবনের এক ছাত্রীর। উচ্চমাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নাম্বার পেয়েও দারিদ্রতার কারণে পড়াশোনার পাঠ শিকেই উঠতে চলেছে দিনমজুর পরিবারের এই মেয়েটির।দক্ষিন সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম গুরুদাসপুর।
দিনমজুর রবীন্দ্রনাথ পাল ও তাঁর স্ত্রী ত্রীবেনি পাল আর দুটি মেয়ে।হত দরিদ্রর সংসার।বাড়িতে রয়েছে দাদু দিদা।পাল পরিবারের ছোট মেয়ে রঞ্জিতা পাল।উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৫১ নাম্বার পেলেও তার আক্ষেপ তার হয়তো আর পড়াশোনা করা হবে না।সে গুরুদাসপুর মহেন্দ্র ইন্দ্র বিদ্যামন্দির থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে।তার সাফল্যে এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা গর্বিত।গর্বিত বাবা মাও।সে ইংলিশে অনার্স নিয়ে পড়তে চায়।
কিন্তু বাধা আর্থিক সঙ্কট।বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল দীন মজুর।শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁর,তাই মা নিজেই কখনো লোকের দোরে কাজ করতে যায়।টালির একচিলতে বাড়িতে বাস তাদের।বাড়িতে পড়াশুনা তেমন কেউ জানেনা।তাই ছোট মেয়ের স্বপ্ন নিয়ে চিন্তিত রবীন্দ্রনাথ বাবু।সরকারী কন্যাশ্রী মাধ্যমে কিছুটা হলেও পড়াশুনার খরচ জুটিয়েছে।কিন্তু সে দিয়ে আর কত দিন?মেয়ে পড়াশোনা না করে টিউশনি পড়িয়ে কিছু রোজগার করুক।যাতে সংসার বাঁচে।
কারণ খরচা করে বাইরে রেখে মেয়েকে আর পড়ানো তার ক্ষমতা নেই।কিন্তু মেয়ে জেদ ধরেছে সে পড়াশোনা করবে।স্বপ্ন পুরন করবে।এখন বাবা মায়ের একটাই চিন্তা কি করে তার মেয়ে লেখাপড়া শিখবে বাইরে থেকে।তাই কোনো সহৃদয় ব্যক্তি যদি পাল পরিবারের পাশে দাঁড়াতো, তাহলে হইতো অসহায় পরিবারে ইংরেজি শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত হয়ে দক্ষিন সুন্দরবনের মুখ উজ্বল করতে পারতো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584