শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
হিজাব পরার কারণে দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি কলেজে ৬ মুসলিম ছাত্রীকে ক্লাসে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। উদুপি জেলার সংশ্লিষ্ট কলেজের কর্তৃপক্ষ বলছেন, ওই ৬ শিক্ষর্থীকে শুধুমাত্র শ্রেণিকক্ষে হিজাব খুলে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। তাঁরা হিজাব পরেই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা কলেজের ইউনিফর্ম (সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না) পরেই পাঠ নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা ইসলামি বিধান মতে চুল ঢেকে ক্লাসে প্রবেশ করার অনুমতি চান।
ঘটনাস্থল কর্ণাটকের উদুপি জেলা সাম্প্রদায়িকভাবে অন্যতম সংবেদনশীল এলাকা। এই উপকূলীয় অঞ্চলটিকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পরীক্ষাগার হিসেবে অভিহিত করেছেন অনেক পর্যবেক্ষক। এলাকাটি রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত। কর্ণাটকের ক্ষমতায়ও রয়েছে বিজেপি।
কলেজটির কর্তৃপক্ষ বলছে, কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার ছাত্র শাখা ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (সিএফআই) হিজাবের বিষয়ে জড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি জটিল হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আলমাস এ এইচ জানিয়েছেন, তিনি সিএফআইয়ের সদস্য নন। কিন্তু হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়ার কারণে তাঁরা ওই সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ধর্ম সংসদ মামলায় গ্রেপ্তার করতে হবে মুসলিম নেতাদেরই , শীর্ষ আদালতে আবেদন হিন্দু সংগঠনের
দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ মুসলিম। দেশজুড়ে হিজাব ও বোরখা পরিহিতা নারীদের চলাচল খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তাঁরা নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সামাজিক কারণে এই পোশাক পরে থাকেন। তবে সাম্প্রতিককালে উগ্রপন্থীদের তৎপরতা বাড়ার প্রভাবে কোন কোন এলাকায় মুসলিম ও খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘুদের সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটছে। যা গনতান্ত্রিক দেশে চরম লজ্জাজনক এবং গণতন্ত্রের বিরোধী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584