নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
এক সাংবাদিক আওরঙ্গজেব নকশবন্দী, টুইটারে শিশুটির ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন সেকথা।করোনা অতিমারীর ফলে পাল্টে গিয়েছে মানুষের জীবন, ঘরবন্দী হয়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ জীবন কাটাচ্ছে সারা বিশ্ব।
একইভাবে পাল্টেছে শিশুদের দৈনন্দিন জীবন, ঘরবন্দী থেকে পড়াশুনো হচ্ছে অনলাইন কিন্তু তাতে মিটছে না স্কুলের স্বাদ। আর যে ভালো লাগছে না তাদের! তারই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের একটি বাচ্চা মেয়ে, বয়স মাত্র ৬ কিন্তু তুমুল বিরক্ত হয়ে ঠিক করে ফেলে এই দীর্ঘ অনলাইন ক্লাস আর স্কুলের এত পড়ার বিরুদ্ধে কাউকে একটা অভিযোগ করতেই হবে, আর অভিযোগই যখন করবে তা সোজা প্রধানমন্ত্রীকেই করা ভালো!
A six-year-old Kashmiri girl's complaint to @PMOIndia @narendramodi regarding long hours of online classes and too much of school work. pic.twitter.com/S7P64ubc9H
— Aurangzeb Naqshbandi (@naqshzeb) May 29, 2021
৪৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপে শিশুটির অভিযোগ, তার ক্লাস শুরু হয় সকাল ১০টায় শেষ হয় সেই দুপুর দুটোয়! তার মধ্যে তাকে কতকিছু পড়তে হয় ইংরাজি, অঙ্ক, উর্দু, পরিবেশ বিজ্ঞান তারই সাথে আছে কম্পিউটার ক্লাস!
আরও পড়ুনঃ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আয় কমেছে ৯৭ শতাংশ পরিবারের, চাকরি হারিয়েছেন ১ কোটিরও বেশি, সিএমআইই সমীক্ষা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার প্রশ্ন, “ছোট ছোট বাচ্চাদের কেন এত পরিশ্রম করতে হবে মোদি সাহেব?” ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে প্রধানমন্ত্রীকে তার জিজ্ঞাসা, “কি করা যায় বলুন তো? সালামআলেকুম, মোদি সাহেব, বাই।”
ভিডিও ক্লিপটি টুইটারে পোস্ট করা হয় গত শনিবার, তারপর থেকে এই ভিডিওটি দেখেছেন ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষ, ভিডিওতে ৫০০০ লাইক এছাড়াও ১২০০ জন মানুষ এই টুইটটি রিটুইট করে বাচ্চাটির অভিযোগ সম্পর্কে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ স্বস্তিতে এয়ার ইন্ডিয়ার বরখাস্ত হওয়া পাইলটরা, কাজে পুনর্বহালের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
একজন লিখেছেন, “হিমালয়ের উচ্চতার থেকেও বাচ্চাটি যেন বেশি মিষ্টি!” আরেক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “মোদীজি, শুনতে পাচ্ছেন? এই শিশুটি দেশের আরো হাজার হাজার শিশুর মনের কথা বলেছে। দয়া করে বাচ্চাদের এই অনলাইন ক্লাসের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিন।”আরো এক কঠিন প্রশ্ন তুলে আরেক টুইটার ব্যবহারকারীর মন্তব্য, “অতিমারী আবহে নিরীহ শিশুরা কি ভীষন ক্ষতির মুখে পড়ছে আমাদের তা অনুভব করা প্রয়োজন।”
তবে একথাও ঠিক যে, ভীষন মিষ্টি একটি শিশু তার ক্ষোভের কথা জানাতে গিয়ে প্রকারান্তরে দেশের এক বড় সমস্যার দিকে এবার দৃষ্টিপাত করতে বাধ্য করছে সকলকে। বিশেষজ্ঞদের এবার ভাবা উচিত এই সময়ের শৈশব কি কম্পিউটারের স্ক্রীনেই আটকে থাকবে?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584