সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
পেটিএম এ, এক লক্ষ আটষট্টি হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হলেন ব্যবসায়ী পরিবার। পেটিএম অ্যাপ ডাউনলোড করে তাতে একটি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের দশ হাজার টাকা রাখেন।
পেটিএম থেকে জানানো হয় ওই দশ হাজার টাকাটি পেতে গেলে তাদেরকে কেওয়াইসি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। সেই মতো তারা নাম-ঠিকানা, জায়গা জানতে চায় এবং কেওয়াইসি ফর্ম ফিলাপ হয়ে গিয়েছে বলে জানায়। পেটিএম প্রতারকদের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ ব্যবসায়ী পরিবারের।
সূত্রের খবর, তাদের কাছে ফোন আসে গত মাসের ৩১ তারিখ বিকাল সাড়ে চারটের সময়। প্রতারকরা বলে গুগুল কুইক অ্যাপ ডাউনলোড করতে।
আরও পড়ুনঃ ঘোষপুকুরে অবৈধ ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে আটক তিন যুবক
এরপর প্রতারকরা, ব্যবসায়ীর ওই বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে প্রথমে ২০ হাজার, পরে ২০ হাজার এবং শেষ দফায় ৩৮ হাজার, এভাবে সর্বমোট ৮০ হাজার টাকা ধাপে ধাপে কাটতে থাকে।তবে এখানেই থেমে থাকেননি তারা। এরপরেও আরও ৬৩ হাজার টাকা কেটে নেয় তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে। এভাবে সর্বমোট ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট থেকেকেটে নেওয়া হয় পেএটিএম-এর মাধ্যমে।
এই ঘটনায় ব্যবসায়ী পরিবারের মাথায় হাত পড়ে। তাঁরা জানান, ছোট গ্রিলের ব্যবসা তাঁদের। এখন হতাশায় দিন কাটছে সুদীপ্ত ঘোষ ও স্ত্রী অর্পিতা ঘোষের।
জানা যায়, বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড করা ছিল স্ত্রী অর্পিতা ঘোষের নামে। পেটিএম এর মাধ্যমে জিনিসপত্র কেনার জন্যই তারা বেসরকারি ক্রেডিট কার্ডের থ্রু পেএটিএম অ্যাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু এভাবে প্রতারিত হতে হবে তারা স্বপ্নেও ভাবেননি।
আরও পড়ুনঃ এলাকায় চুরির প্রতিবাদে আন্দোলনের পথে বিধায়ক
এই ঘটনার কথা জানিয়ে ওই ব্যবসায়ী পরিবার বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । পাশাপাশি ৩১ তারিখে বেসরকারি ব্যাঙ্কের থেকে পরিবারের কাছে জানতে চাওয়া হয় তারা অনলাইনে কোনও জিনিস কিনেছেন কিনা। ব্যবসায়ী পরিবার জানায় তারা কোনও কেনাকাটা করেননি ।
এরপর ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা চলছে। এরপর তারা পেটিএম এবং মহেশতলার সাইবারক্রাইম বিভাগকে এই দুর্দশার কথা জানায়। এখন ওই পরিবার তাদের নায্য টাকা ফিরে পায় কিনা, তার অপেক্ষাতেই বসে আছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584