শুভব্রত সরকার, মুর্শিদাবাদঃ
করোনা ভাইরাস সমগ্র পৃথিবীর কাছে এক আতঙ্কের নাম। ভারতে এই ভাইরাসের আগমন হয় ২০২০ তে, কেটে গেছে এক বছর। করোনা মোকাবিলায় একাধিকবার লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। বিজ্ঞানী থেকে বিশেষজ্ঞরা মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি দূরত্ববিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিপর্যয়কে ‘অতিমারী’ ঘোষণা করেছেন। ডাক্তার, নার্স, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকলেই সামনের সারিতে লড়াই করে গিয়েছেন। দিনরাত পরিশ্রমের পর সাফল্য এসেছে ভ্যাকসিনে। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশন। এই অতিমারিতে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি।
লকডাউনের ফলে সংক্রমণে কিছুটা রাশ টানা গেলেও তা থাবা বসিয়েছে মানুষের রুজি রোজকারে, কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ছোট থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব আজ সংকটে। তারা জানাচ্ছেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় তারা দোকান খুললেও ক্রেতা আসছে হাতে গোনা। তারা চাইছেন, সরকার তাদের কথা একটু ভেবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
এক বই বিক্রেতা জানালেন, দীর্ঘদীন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের বিক্রি একদম কম। তাই তারাও চাইছেন, করোনা বিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক।
আরও পড়ুনঃ নবগ্রামে পেট্রোল-ডিজেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা সিপিআইএম এরিয়া কমিটির
এর পাশাপাশি এক চা বিক্রেতা জানালেন, তারা দোকান খোলা রাখলেও সেই হারে ক্রেতা আসছে না। তারা চাইছেন, সরকার তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করুক। এর সাথে ব্যবসায়ীরা জানান, শান্ত হোক পৃথিবী, নতুন সূর্য নিয়ে আসুক করোনামুক্ত ভারতবর্ষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584